ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিয়েছেন বিশ্বখ্যাত ভারতীয় হেয়ার স্টাইলিস্ট জাভেদ হাবিব। সোমবার নয়াদিল্লিতে বিজেপি কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগদান করেন তিনি। এরপর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আজকের আগ পর্যন্ত আমি শুধু চুলের চৌকিদার ছিলাম, এখন আমি দেশের চৌকিদার হয়ে গেলাম।’ খবর ইন্ডিয়া টুডের।
হাবিব এদিন আরও বলেছেন, ‘আমি বিজেপিতে যোগ দিয়ে খুশি কারণ গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে যা যা পরিবর্তন এনেছেন তা আমি দেখেছি। আমার বিশ্বাস নিজের অতীত নিয়ে কারও লজ্জিত হওয়া উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী যদি গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন যে তিনি চাওয়ালা ছিলেন, তাহলে আমিই বা নিজেকে নাপিত বলতে লজ্জা পাব কেন!’
শুধু চুলের স্টাইলিশ হিসেবে হাবিবে খ্যাতি এখন বিশ্বজোড়া। ভারত তো বটেই। এশিয়া ছাড়িয়ে ইউরোপ, আমেরিকার সবখানেই জাভেদ হাবিব হেয়ার অ্যান্ড বিউটি কেয়ার সেলুনের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে ২৪টি রাজ্যের ১১০টি শহরে ৬৩৬টি সেলুন রয়েছে তার। এ ছাড়া লন্ডন, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশেও রয়েছে তার সেলুন। এসব সেলুন ও বিউটি কেয়ার সেন্টারে এক হাজারের বেশি মানুষ কাজ করছে।
জাভেদ হাবিবের বাবা ছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর পারিবারিক চুল পরিচর্যাকারী। দাদা, বাবার পর জাভেদ হাবিব এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শীর্ষ হেয়ার স্টাইলিস্ট। জাভেদ হাবিব বলিউডের অনেক শীর্ষ তারকাদের চুলের স্টাইল করেছেন।
মা-বাবার পথ ধরে বিজেপিতে সানি দেওল : বাবা ধর্মেন্দ্র ও মা হেমা মালিনীর পথ ধরে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির রাজনীতিতে নাম লেখালেন অভিনেতা সানি দেওল। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে দলের সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সানি। তখন থেকেই তার জল্পনা চলছিল। মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লিতে তাকে দলে স্বাগত জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং আরেক নেতা পীযূষ গয়াল। পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুদাসপুর আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন সানি। খবর এনডিটিভির।
অটল বিহারি বাজপেয়ির আমলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। ২০০৪-এ রাজস্থানের বিকানের থেকে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন তিনি। আগের বছর (২০০৩) আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে নামেন হেমা মালিনী। সেবার রাজ্যসভার বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে এমপি নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে এবারও বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
মা-বাবাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই বিজেপিতে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন সানি দেওল। তিনি বলেন, ‘বাবা অটলজিকে সমর্থন করতেন। তার সঙ্গে কাজও করেছিলেন। তাই মোদিজির সমর্থনে এগিয়ে এসেছি আমি। আগামী পাঁচ বছরও তাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই। তবে আমার কাজই কথা বলবে।’
ভারতে চৌকিদার নয় প্রধানমন্ত্রী দরকার -হার্দিক প্যাটেল : ‘মুঝে চৌকিদার নেহি প্রধানমন্ত্রী চাহিয়ে, চৌকিদার ঢুরনা হোগা তো মে নেপাল চালা জাউঙ্গা’ (আমাদের একজন প্রধানমন্ত্রী দরকার, চৌকিদার নয়। চৌকিদার খুঁজতে হলে নেপাল চলে যাব)। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইঙ্গিত করে এভাবেই তীব্র কটাক্ষ হেনেছেন কংগ্রেসের উদীয়মান তরুণ নেতা হার্দিক প্যাটেল। লোকসভার তৃতীয় পর্বের নির্বাচনে মঙ্গলবার গুজরাটের বীরামগামে ভোট দিয়ে বেরনোর পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এবারের নির্বাচনে নিজেকে দেশের ‘চৌকিদার’ দাবি করে প্রচারণা চালাচ্ছেন মোদি। প্যাটেল বলেন, ‘দেশ প্রধানমন্ত্রী চায়। এমন এক প্রধানমন্ত্রী যিনি অর্থনীতি, শিক্ষা সব ক্ষেত্রে দেশকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমাদের চৌকিদার চাই না। আর চৌকিদারের প্রয়োজন হলে নেপাল যাব। সেখান থেকে চৌকিদার নিয়ে আসব।’
সম্প্রতি পিছিয়ে পড়া পাতিদার সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা ও চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের দাবিতে বড় আন্দোলন গড়ে তোলেন হার্দিক। আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে প্রচারের আলোয় আসেন। প্রবল বিজেপিবিরোধী হার্দিক ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন জানান। এবার লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দেন হার্দিক। মোদির রাজ্য গুজরাট থেকে ভোটে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার প্রার্থী হওয়ার স্বপ্নে জল ঢেলে দেয় গুজরাট হাইকোর্ট।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন