ইস্টার সানডেতে গির্জা ও অভিজাত হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় জড়িত ন্যাশনাল তৌহিদ জামাতের (এনটিজে) সঙ্গে প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশের দুটি সংগঠনের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
মঙ্গলবার সংসদে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান ওয়াজেইবর্ধনে বলেন, ‘জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি ইউনিট দ্য জামাত-উল-মুজাহিদীন ইন্ডিয়া (জেএমআই), তারা রোববারের বোমা হামলায় ভূমিকা রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২১ জন নিহত ও ৫০০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন বিদেশি রয়েছেন।’
ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত গতবছর থেকে ভারতে খুবই স্বল্পপরিসরে জেএমআই’র নাম আলোচনায় আসে। এদের আদর্শের সঙ্গে বাংলাদেশে, জেএমবি’র আদর্শের মিল রয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় জেএমবি’র দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময়ে মশিবুর রহমান ওরফে ফারুক (৩৫) ও রুহুল আমিন ওরফে সাইফুল্লাহর (২৬) কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী জব্দ করা হয়।
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে মোস্ট ওয়ান্টটেড সন্ত্রাসী সালাহউদ্দীন সালেহীন ও জাহিদুল ইসলাম মিলে ২০১৮ সালে ভারতে জেএমবি’র ভারতীয় শাখার কার্যক্রম চালু করেন। অবশ্য বাংলাদেশ সরকার বেশ আগেই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করেছে।
প্রতিবেদনের শেষ দিকে ইন্ডিয়া টুডে বলেছে, যদি শ্রীলঙ্কান প্রতিমন্ত্রী রুয়ান ওয়াজেইবর্ধনের দাবি সত্য হয়ে থাকে, তবে তা ভারতের জন্য সত্যিই উদ্বেগের। কারণ, ভারত সম্প্রতি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ান নিহতের পর থেকে অভ্যন্তরীণভাবে নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হুমকি মোকাবেলা করে আসছে।
হামলার পর দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় ইতোমধ্যে হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, রোববারের সন্ত্রাসী হামলা সর্বাধিক সমন্বিত প্রচেষ্টায় চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো দেশটিতে এ ধরনের আরও হামলার ইঙ্গিত পেয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন