শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৯০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি। আর আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। রবিবার (২১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে দেশটির তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এর তিন থেকে চার ঘণ্টা পর আরও দুটি স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে ভয়াবহ ওই হামলার চিত্র।
শ্রীলংকার নেগোম্বোর সেইন্ট সেবাস্টিয়ান গির্জায় চলছিল ইস্টার সানডের উৎসব। অনেকে আগেভাগেই পৌঁছে যান সেখানে। দিলীপ ফার্নান্দো পরিবার নিয়ে ওই গির্জায় যান সকাল সাড়ে ৭টার দিকে। একটু দেরিই হয়ে যায় তাদের। পৌঁছে দেখেন বেশ ভিড়। এত মানুষ দেখে অন্য গির্জায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দিলীপ। এতে সপরিবারে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
সেখান থেকে চলে যাওয়ার অল্প সময় পরেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সোমবার (২২) সকালে আবার ওই গির্জায় গিয়ে ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ‘এএফপি’কে অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা বলেন, ‘খুব ভিড় ছিল। আমি আর আমার স্ত্রী দাঁড়ানোর জায়গাও পাচ্ছিলাম না। তাই অন্য গির্জার দিকে রওনা দেই।’
দিলীপ ও তার স্ত্রী চলে গেলেও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে দিলীপের দুই নাতনিও ছিলেন। তারা জায়গা না পেয়ে গির্জা বাইরে বসে অপেক্ষা করছিলেন। সে সময়ই এক তরুণকে তারা দেখতে পান। খুব ভারি একটা ব্যাগ নিয়ে গির্জার ভেতর ঢুকছেন। তাদের বিশ্বাস, ওই তরুণই আত্মঘাতী এ হামলা চালায়। শান্ত চেহারার ওই তরুণ যেতে যেতে দিলীপের এক নাতনির মাথায় হাত রাখেন। তিনি ভেতরে ঢোকার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ ঘটে।
দিলীপ বলেন, ‘আমার নাতনিরা জানায়, তরুণটির বয়স ৩০ বছরের মতো হবে। খুব সাদাসিধে চেহারা। তার মধ্যে কোনো উত্তেজনা ছিল না, ভয়ও ছিল না। খুব শান্ত ছিল সে। ওই তরুণ ভেতরে ঢোকার পরপরই বিস্ফোরণ ঘটে।’ বিস্ফোরণের পর দিলীপের পরিবারের সদস্যেরা দৌড়ে ওখান থেকে সরে আসেন। খুব ভয় পেয়েছিলেন সবাই।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন