শ্রীলঙ্কায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলাকালে সিরিজ বোমা হামলায় নিহত হন ২৯০ জন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ শতাধিক। তিনটি গির্জা এবং তিনটি হোটেলে মোট ছয়টি বিস্ফোরণ ঘটে। পরে আরও দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসি জানায়, হামলায় নিহতদের অধিকাংশই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩৫ জন বিদেশি। তাদের মধ্যে আছে ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, চীনের নাগরিক।
হামলা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং গুজব ও মিথ্যা তথ্য প্রচার ঠেকাতে দেশটির সরকার সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে নিহতদের সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
তবে পরিবার ও বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানায়, এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন আট ব্রিটিশ নাগরিক, যাদের দুইজনের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও আছে।
৪০ বছর বয়সী এক মার্কিন নাগরিকও নিহত হন এই ঘটনায়। কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারের বাসিন্দা তিনি। শিক্ষা উন্নয়ন বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। পরিবার সূত্রে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্মসূত্রেই তিনি শ্রীলঙ্কায় যান।
ড্যানিশ ধনকুবের অ্যান্ডার্স হোল পওলসেনের তিন শিশু নিহত হয়েছে বলে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ভয়াবহ এ হামলায় নিহত হয়েছে দেশটির ছয় নাগরিক।
তারা সবাই ভারতের রাজনৈতিক দল জনতা দলের (জেডিপি) সদস্য। হামলার সময় শাংরি-লা হোটেলেই তারা অবস্থান করছিলেন বলে বিবিসি হিন্দিকে তাদের পরিবার জানায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদলু নিশ্চিত করে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে দেশটির দুই নাগরিক। পেশায় তারা প্রকৌশলী।
জাপান সরকারের এক সূত্রে জানায়, দেশটির এক নাগরিক নিহত হন। একইভাবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিশ্চিত করেন, দুই অস্ট্রেলীয় নাগরিকের নিহতের কথা। দুইজনেই একই পরিবারের সদস্য। তারা শ্রীলঙ্কাতেই থাকতেন।
এ ছাড়া এক পর্তুগিজ নাগরিক এবং এক ডাচ নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
একই হোটেলে বোমা হামলায় বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের আট বছর বয়সী নাতী নিহত হয়। শেখ সেলিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন