পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির মপটি অঞ্চলের দুই গ্রামে শনিবার গুলিবর্ষণ করে অন্তত ১৩৪ পশুপালককে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। হামলাকারীদের মূল টার্গেট ছিল ইসলাম ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র আদিবাসী ফুলানি সম্প্রদায়ের মানুষ। এ সম্প্রদায়ের সদস্যদের অভিযোগ, মালির সেনাবাহিনী হামলাকারীদের অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালাতে সহায়তা করেছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
এমন সময়ে এ হামলার ঘটনা ঘটলো যখন ক্রমবর্ধমান জাতিগত বিদ্বেষ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে দেশটিতে অবস্থান করছিলেন জাতিসংঘের একাধিক দূত। এ হামলাকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রতিবেশী গ্রাম ওউঙ্কোরোর মেয়র চিক হারাউনা সানকার। ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী শহর বানকাসের মেয়র মুলাই গুইন্দো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ১৩৪টি মরদেহের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় শনিবার ভোরে ওগোসাগু গ্রামের চারদিক থেকে ঘেরাও করে হামলা শুরু করে বন্দুকধারীরা। এরপর সেখান থেকে নিকটবর্তী আরেক ফুলানি গ্রাম ওয়েলিংগারাতে হামলা চালায় ঐতিহ্যবাহী ডগন শিকারিদের পোশাক পরিহিত বন্দুকধারীরা। বন্দুক ও চাপাতি নিয়ে আদিবাসী ফুলানি সম্প্রদায়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। হামলায় নিহতদের মধ্যে গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও রয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
আধা যাযাবর ফুলানি সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে মালির ডগন শিকারিদের বিবাদ অনেক পুরনো। উভয় পক্ষের মধ্যে জমি ও পানির দখল নিয়ে বিরোধ চলছে। তবে শনিবারের ঘটনায় হামলাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে দুষছে আদিবাসী ফুলানি সম্প্রদায়।
এর আগে মালিতে ফুলানি সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদে শুক্রবার মালির দেশটির একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন