যুক্তরাজ্যে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলে বাংলাদেশিসহ এশীয়দের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি বিতাড়িত করার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার।
এশীয়দের হাতে যুক্তরাজ্যে একের পর এক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অপরাধ প্রবণতা কমাতে এমন উদ্যোগ ভালো হলেও একে বৈষম্যমূলক বলছেন অনেকেই।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে যৌন নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত কয়েকটি এশীয় নাগরিক-চক্রের তৎপরতা উদঘাটিত হয়েছে। রোথেরহ্যামে এমন অভিযোগে ৬ জন দোষী সাব্যস্ত হয়।
যুক্তরাজ্যে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা ব্যক্তিরা কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হলে সাজার পাশাপাশি তাদের নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা রাখে ব্রিটিশ সরকার।
এ ক্ষমতা এতদিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হলেও সম্প্রতি দেশটিতে যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রেও তা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 'থেরেসা মে' বিশেষ ক্ষমতাবলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় এশীয় কমিউনিটির মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এশিয়ান ব্যক্তিদের টার্গেট করে এ সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক বলছেন ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে জেলে থাকা ব্যক্তিদেরও সাজা শেষে যুক্তরাজ্য থেকে বের করে দেয়া হতে পারে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন