যুক্তরাজ্য থেকে তার প্রণয়ী ৩২ বছর বয়সী গাম্বিয়ান নাগরিক মামাদু সালিয়েউর সাথে গাম্বিয়ায় চলে আসার পূর্বে তিন সন্তানের জননী ৪৫ বছর বয়সী হেইডি হেপওর্থের ফেইসবুকে পরিচয় হয়েছিল।
আর বর্তমানে তার ভাষা অনুযায়ী, হিজাব পরিধান করে তিনি যেরকম আনন্দিত হয়েছেন তার এর পূর্বে কখনো তিনি অনুভব করেন নি এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পরে তিনি প্রতিনিয়ত মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করেন।
বার্তা সংস্থা দি সান কে তিনি তার সাবে স্বামী হেপওর্থ যার সাথে তিনি ২৩ বছর বিবাহিত জীবন কাটিয়েছিলেন তার সমালোচনা করে বলেন, ‘গাম্বিয়া যুক্তরাজ্যের চাইতে অনেক বেশী সুখী একটি দেশ।’
হেইডি হেপওর্থ বলেন, ‘কেউই জানেনা এটি কতদিন টিকবে কিন্তু আমরা একে অন্যের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা করেছি।’
এর পূর্বে হেইডি হেপওর্থ জীবনে কখনো আফ্রিকা মহাদেশে ভ্রমণ করেন নি কিন্তু মামাদু সালিয়েউ এর সাথে পরিচয় হওয়ার পর তিনি ইতোমধ্যেই অন্তত চারবার গাম্বিয়া ভ্রমণ করেছেন এবং বিয়ের পর স্থায়ী ভাবে গাম্বিয়ায় চলে আসার পরিকল্পনা করছেন।
তার এমন সিদ্ধান্ত নেয়া এবং তার তিন সন্তান সম্পর্কে হেইডি হেপওর্থ বলেন, ‘সেখানে আমার শুধুমাত্র তিনজন হৃদয়ের মানুষ রয়েছে যাদের আমি ভালোবাসি এবং যাদের ছেড়ে আমি এখানে আসবো। যুক্তরাজ্যে আমার ২৮ বছর বয়সী বড় মেয়ে সহ অন্য সন্তানেরা বসবাস করে।’
হেইডি হেপওর্থ তার গাম্বিয়ান প্রেমিক মামাদু সালিয়েউ সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা একে অন্যের প্রেমে পড়েছি। তার সাথে ফেইসবুকে আমার দেখা হয়েছে। এর পূর্বে তার সম্পর্কে আমি জানতাম না। আমাদের মধ্যে কোনো কোনো সময় ফেইসবুক চ্যাট হতো। আমরা প্রায় তিন কি চার মাস যাবত বার্তা আদান প্রদান করি।’
তিনি আরো বলেন, আমার অবর্তমানে আমার বড় মেয়ে আমার অন্যান্য সন্তানদের দেখাশোনা করবে।
বার্তা সংস্থা দি সানকে তিনি বলেন, ‘প্রতি রাতে আমি অনলাইনে তাদের সাথে ভিডিও চ্যাটে কথা বলি। তাদেরকে আসলেই সুখী দেখায় এবং আমি আমার সন্তানদের ভালো করেই জানি।’
তিনি বলেন, ‘তারা এমনকি মামাদু সালিয়েউর সাথেও কথা বলে এবং গত কয়েক মাস যাবত এভাবে কথা বলার পর সে তাদের প্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছে।’
‘এরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনো দু:খ নেই। কারণ আমি দীর্ঘদিন আমার পূর্বের স্বামীকে নিয়ে অখুশি ছিলাম আর এখন আমি এমন একজনকে পেয়েছি যার সাথে সারা জীবন কাটানো যায়।’
‘আমাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক বিদ্যমান এবং তাকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না।’
কিন্তু হেইডি হেপওর্থের প্রাক্তন স্বামী জনাব হেপওর্থ তার এমন সিদ্ধান্তের জন্য ব্যাপক সমালোচনা করেন। তিনি একে ‘মধ্য বয়সের সঙ্কট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
জনাব হেপওর্থ বলেন, ‘এটি এখন একটি মজার বিষয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। সে একজন বোকা নারী এবং তার নামের পেছনে এখনো আমার নামের অংশ বিদ্যমান।’
হেইডি হেপওর্থের গাড়ি মিস্ত্রি স্বামী হেপওর্থ আরো বলেন, ‘সে তার প্রেমিক কে প্রায় সময় অর্থ পাঠাতো এবং শুধুমাত্র অর্থের জন্যই তার প্রেমিক তাকে গ্রহণ। আমি মনে করি একমাত্র এ একটি বিষয়ের জন্যই সে আমাকে পরিত্যাগ করছে।’
তিনি আরো দাবী করে বলেন, ‘তার স্ত্রী হেইডি হেপওর্থ প্রতি সপ্তাহে তার প্রেমিকের জন্য ৬৫ ইউরো পাঠাতেন যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।’
সূত্র: metro.co.uk
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন