অস্ট্রেলিয়ানিউ জিল্যান্ডে ভ্রমণ সতর্কতা জারির পর এবার অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও একই সতর্কতা জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এক সতর্ক বার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে এবং যারা সেখানে ভ্রমণে যেতে চান তারা যেন সব সময় সতর্ক থাকেন, বিশেষ করে পাবলিক প্লেসে। সেখানকার সাম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে গণমাধ্যম এবং স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহের অনুরোধ করা হচ্ছে। ক্যানবেরাতে বাংলোদেশে মিশন তাদের সহায়তার জন্য সবসময় প্রস্তুত আছে। দু’টি নম্বরে ফোন করে তথ্য জানা যাবে। নম্বর দু’টি হলো, +৬১৪২৪৪৭২৫৪৪, +৬১৪৫০১৭৩০৩৫।
সর্তক বার্তায় বলা হয়েছে, একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেনটন্ট ট্যারান্ট নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুক হামালয় ৫০ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রয়েছেন। এছাড়া আরও তিনজন বাংলাদেশি আহত অবস্থা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলাকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলার আগে তিনি নিজেকে একজন বর্ণবাদী হিসেবে নিজেকে অভিহিত করে ৭৪ পৃষ্ঠার একটি ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করেন। ঘটনা ঘটার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার একজন সিনেটর একটি বিবৃতি ইস্যু করে মসজিদের হামলার জন্য মুসলিমদেরকে দায়ী করেন। অস্ট্রেলিয়ার একজন আইন প্রণেতার মন্তব্যের পর আশঙ্কা করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াতে বর্ণবাদ বাড়তে পারে।
এর আগে শুক্রবার নিউ জিল্যান্ডে ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর বাংলাদেশি নাগরিকদের সেদেশে ভ্রমণের বিষয়ে ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি বা ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে বাংলাদেশ যা সোমবার (১৮ মার্চ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। দেশটিতে যারা ভ্রমণের জন্য যেতে চাইছেন তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে এই সতর্কতা নোটিশ জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ (শুক্রবার) নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল-নূর মসজিদ ও লিনউডের আরেকটি মসজিদে একজন বন্দুকধারী ঢুকে গুলি করে নামাজের প্রস্তুতিরত মুসল্লিদের গুলি করে হত্যা করে। নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস এই সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ মুসল্লি নিহত এবং আরও ৫০ জন আহত হন। হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্টকে পরে পুলিশ গ্রেফতার করে। ২৮ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলীয় নাগরিক স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী, সে ওই হামলার দৃশ্য সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচারও করে। এই হামলার ১৫ মিনিট আগে সে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ই-মেইল করে হামলার জন্য যাচ্ছে বলেও জানায়। তার এই নৃশংস ভিডিও পরে সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন