শুক্রবার নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এতে অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন। আর এসব ঘটনার কারণ হিসেবে দেশটির ইমিগ্রেন্টকে দায়ী করেছে অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ফ্রেসার আনিং।
তিনি এ হামলাকে সন্ত্রাসী ঘটনার পরিবর্তে এটিকে 'সহিংস সতর্কতা' বলেছেন। হামলা নিয়ে আনিং এক বিবৃতিটি বলেছেন, মুসলিমদের উপস্থিতি বাড়ার ফলে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড উভয় সম্প্রদায়ের ভয়কে বাড়িয়ে তুলছে।
ডানপন্থী সন্ত্রাসবাদ, বন্দুক আইন বা ক্রমবর্ধমান বর্ণবাদকে ননসেন্স বলে উল্লেখ করেন। তিনি এ রক্তপাতের কারণ হিসেবে বলেন, নিউজিল্যান্ডের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা মুসলিম ধর্মান্ধদের অনুমোদন দিয়েছে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ ঘটনার নিন্দা জানাননি। তবে এটিকে তিনি ন্যক্কারজনক উল্লেখ করেছেন।
ফ্রেসার আনিং হত্যার কারণ হিসেবে যা বলেছিলেন- তার প্রতিবাদ জানিয়ে মরিসন টুইটারে বলেন, তার এ ধরনের বক্তব্য ন্যক্কারজনক।
তিনি বলেন, এ ধরনের মতামত অস্ট্রেলিয়াতে কোনো স্থান নেই। এটা অস্ট্রেলীয় সংসদ।
মরিসন আগে বলেছিলেন, মারাত্মক দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন সন্দেহভাজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে নিউজিল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি যোগাযোগের নম্বর দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা যাবে অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান +৬৪২১০২৪৬৫৮১৯, ক্যানবেরায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার তারেক আহমেদ +৬১৪৫০৬৫৭০৪৬।
এছাড়া জরুরি যোগাযোগের আরও দুটি নম্বর দেওয়া হয়েছে। নম্বরগুলো হলো, +৬১৪২৪৪৭২৫৪৪ ও +৬১৪৫০১৭৩০৩৫।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন