দুদিনের চীন সফরে বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে পা রাখেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর কূটনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ সফরের পর চীন গেলেন তিনি।
এ সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে সৌদি যুবরাজের। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর মিত্রদের সঙ্গে এখনও যে চীনের সম্পর্ক রয়েছে, তা দেখাতেই তিনি এশিয়ায় এলেন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অবশ্যই বেইজিংয়ের উচ্চাভিলাষী বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভ থাকবে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর দিকেও নজর দেয়া হবে।
সৌদি আরবে জ্বালানি ও শিল্পমন্ত্রী খালিদ বিন আবদুল আজিজ আল ফালিত সিনহুয়া সংবাদ সংস্থাকে বলেন, আমাদের অনেক পুঁজি রয়েছে। যেখানে আমরা লাভজনক জায়গা খুঁজে বেড়াচ্ছি।
তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য চীন অবশ্যই একটি বড় জায়গা। বিশেষ করে আমাদের বিশাল বাজার ও উন্নত পরিবেশ রয়েছে।
ইউরেশিয়া গ্রুপের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিশেষজ্ঞ আয়হাম কামেল আলজাজিরাকে বলেন, বেইজিং ও রিয়াদের নেতৃবৃন্দ সম্ভবত জ্বালানি খাতে তাদের কৌশলগত গুরুত্বের বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি দুই দেশ যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে নিজেরা একটি সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।
সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হচ্ছে চীন। গত বছর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় পণ্য বাণিজ্য ছিল ৬৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
২০১৭ সালে সৌদি বাদশাহ সালমানের সফরের সময়ে দুই দেশের মধ্যে ৬৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই হয়েছিল। যেগুলোর অধিকাংশই জ্বালানি ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত।
কামেল বলেন, চীনা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ। যেটি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তার কূটনৈতিক সম্পর্ককে ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে দিতে চাচ্ছেন, যে নেতৃত্বের চক্রের মধ্যেই তার অবস্থান এবং তিনিই আগামী দিনের সৌদি বাদশাহ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন