পায়ের তলায় থাকে বলে জুতা কেনার বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করেন না এমন কেউ নেই বললেই চলে।বরং জুতা কিনতেই বেশি সময় নেন এখন ক্রেতারা।
বেশিরভাগ সময়ই দেখা গেছে, জুতা কেনার সময় আরাম হবে কিনা, স্টাইলটা ঠিক হয়েছে কিনা, পোশাকের সঙ্গে মানিয়েছে কিনা এবং টেকসই হবে কিনা- এসব বিষয় ভেবেচিন্তে এর পর দামের দিকে মনোনিবেশ করেন ক্রেতারা।
তবে নামকরা ব্র্যান্ডের জুতা কিনতে গেলে শুধু দামের দিকেই চোখটা পড়ে।
ব্র্যান্ডের ওপর বিশ্বাস রেখে অন্যসব বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে এককথায় জুতা কিনতে আগ্রহী হয়ে যান ক্রেতারা।
কিন্তু যদি এমনটি হয় বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড পুরনো আর ব্যবহার করা জুতা বিক্রি করছে এবং এর দামও ধরেছে নতুন সব জুতার মতোই বা তার চেয়েও বেশি, তবে...!
এমনটিই করেছে ইতালির বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড গুচি। সম্প্রতি গুচি তাদের একটি শোরুমে এমন একটি জুতা বিক্রির জন্য সাজিয়েছেন যে, তা দেখতে যেমন নোংরা তেমন পুরনো।
এ জুতা জোড়ার বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৮৭০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৩ হাজার টাকা!
এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে ইতালিয়ান বিলাসবহুল এ ব্র্যান্ডটি।
জুতাটির ছবি পোস্ট করে এটি নিয়ে ট্রলে মেতেছেন নেট জনতা।
অনেকেই মনে করছেন, ওই জুতা জোড়া পরে অন্তত ছয় মাস মাঠে কেউ কাজ করেছেন। আর সেই জুতা নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে শোরুমে এনেছে গুচি।
অনেকেই বলছেন, নোংরা ও ব্যবহৃত জুতার এত দাম কেন? এ জুতা কী কোনো প্রাচীন রাজা-বাদশাহর? হয়তো হবে।
এসব ট্রলের জবাব দিয়েছে গুচি।
গুচি বলছে- এটি পুরনো, ব্যবহৃত কোনো জুতা নয়। এতে ‘ভিন্টেজ অ্যাফেক্ট’ দেয়া হয়েছে।
গুচির এ বক্তব্যে থামেনি নেট জনতার সমালোচনা।
তবে এসব সমালোচনায় গুচি ব্র্যান্ড অভ্যস্ত। এটিই প্রথম নয়, এই ইতালিয়ান হাই ফ্যাশন ব্র্যান্ডের।
গত বছর গোল্ডেন গুজ টেপ দিয়ে জোড়া এমন দেখতে একজোড়া জুতা বিক্রির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে গুচি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন