জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের নিন্দা করেছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরীফ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সিআরপিএফ সদস্যদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা হয়। এতে ৪০ জওয়ান নিহত হন। পরে জইশ-এ মোহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে বিবৃতি দেন।
এরই জবাবে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফ বলেন, ‘দখলকৃত কাশ্মীরে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, তার জন্য নরেন্দ্র মোদির অনুতপ্ত এবং ক্ষমা চাওয়া উচিত। এখনকার কষ্টটা অনুধাবনের আগে কাশ্মীরিদের ব্যথাটা বোঝা উচিত।’ খবর: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি এখন যে ক্রোধ দেখাচ্ছেন। কিন্তু, কাশ্মীরে যখন তার পুলিশ ২০ মাস বয়সী শিশুকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে, সেটি দেখেও একই ক্রোধ দেখানো উচিত ছিল।’
শনিবার পাক সংসদের বিরোধীদলীয় প্রধান শাহবাজ বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘ভারতই পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর জ্বলন্ত প্রমাণ গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানে ভারতীয় কুলভূষণ যাদবের গ্রেপ্তার। এটি এমন বাস্তবতা, ভারত কখনও অস্বীকার করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান অবশ্যই পুলওয়ামায় হামলার নিন্দা জানাচ্ছে। কিন্তু, ভারত কোনো ধরনের তদন্ত-প্রমাণ ছাড়ায় এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে। অবশ্য এবারই প্রথম নয়, অতীতেও এমন ঘটনায় তারা একই কাজ করেছে।’
শাহবাজ শরীফ বলেন, ‘পাকিস্তানকে হেয় করার জন্যই ভারত এমন পরিকল্পনা করেছে এবং ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এ নিয়ে প্রশ্নও তোলা হয়েছে। সামনেই ভারতের সাধারণ নির্বাচন। ভোট ঘিরে তারা পাকিস্তানকে জড়িয়ে ইস্যু এবং কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতকে অবশ্যই কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে। দখলকৃত উপত্যকার জনগোষ্ঠী পরিবর্তনের ঘৃণ্য কৌশল থেকে সরে আস হবে।’
পিএমএল সভাপতি বলেন, ‘এই উপমহাদেশে শান্তি চাইলে সবার আগে কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে হবে। জাতিসংঘের প্রস্তাবনা অনুযায়ী কাশ্মীরিদের টেকসই শান্তি ও উন্নয়ন এবং তাদের চাহিদা পরিপূর্ণ করতে হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন