যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা যাকে ইরানের উপর গোয়েন্দাগিরি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তিনি কয়েক বছর পূর্ব ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ডিস্ট্রিক্ট আদালত ৩৯ বছর বয়সী মনিকা এলফ্রিয়েদ উইতের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছে, যেখানে তার বিরুদ্ধে ইরানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গোয়েন্দা কর্মকর্তার তথ্য ফাঁস করে দেয়ার এবং একই সাথে ওইসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মে মাস অবধি সাইবার গোয়েন্দাগিরিতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ পত্র থেকে আরো জানা যায় যে, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরানে অনুষ্ঠিত এক উৎসবে উইত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং সে অনুষ্ঠানটি ইরানের সরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল।
তবে উইতের ধর্মান্তর ঠিক কখন হয়েছিল সে সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু জানা যায় নি, কিন্তু উইত ‘যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তির বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য এবং যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী প্রোপাগান্ডা চালানোর’ জন্য ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ডের এক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন এবং ওই সম্মেলনটি তার ইসলাম গ্রহণের অনুষ্ঠানের একই মাসে সংঘটিত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড নামক দলটিকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী তালিকা ভুক্ত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
২০১৩ সালে উইতকে দ্বৈত নাগরিকত্ব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং অভিযোগ পত্রে তাকে ‘Individual A’ নামে চিহ্নিত করা হয় এবং তাতে তার ব্যক্তিগত জীবন ও তার কাজের ইতিহাস তুলে ধরা হয়।
‘Individual A’ ইরানের সাথে সংযুক্ত একটি ইমেইলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নথি পাঠিয়েছিল এবং এর তিন দিন পরে তিনি ইরান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করেছিলেন।
তিনি সেখানে লিখেন, ‘আমি সাক্ষর করেছি এবং চলে যাচ্ছি! ‘Individual A’ বাড়িতে আসছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই এর জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক জে তাব গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন যে, ‘উইতের প্রাথমিক উদ্দেশ্য সমূহকে নৈতিক বলে মনে হয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বিশ্বাস করে যে, উইত এখনো ইরানে বসবাস করছেন।
সূত্র: ওয়াশিংটনএক্সামিনার ডট কম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন