ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত নেতা জুয়ান গুইদো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করার জন্য কাজ করছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে গুইদো ফিলিস্তিন ও ইরানকে ইসরাইলের পুরাতন শত্রু বলে প্রকাশ করেন।
ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষমতাসীন শক্তির মধ্যে রয়েছে। দেশ দুটি গুইদোকে ভেনিজুয়েলার নেতা হিসেবে স্বীকৃতির পর দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে হঠাতে উঠেপড়ে লাগে। ফলে ভেনিজুয়েলা দারিদ্র্যতার মধ্যে পড়ে যায়।
ইসরাইলি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুইদো বলেন, আমি খুব খুশি যে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া চলছে।
যথাযথ সময়ে ইসরাইলে ভেনিজুয়েলার দূতাবাস আনুষ্ঠানিকভাবে পুনর্বহাল করা হবে।
গুইদো বলেন, মাদুরোর আগে হুগো শ্যাভেজ গাজার ২০০৮-০৯ যুদ্ধের সময় ইসরাইলকে ত্যাগ করেছিলেন এবং ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি ইসরাইলের শত্রু ইরানের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছিলেন।
ওই সাক্ষাৎকারে গুইদো বলেন, এই (ইহুদি) সম্প্রদায় খুব সক্রিয় এবং সমৃদ্ধ, যা আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে অবদান রাখছে।
২০১৩ সালে ক্যানসারে হুগো শ্যাভেজ পরলোকগমন করলে নিকোলাস মাদুরো হন তার উত্তরসূরি। মাদুরো শ্যাভেজের অনুসারী, শ্যাভেজের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। শেষে এক বছর শ্যাভেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। শ্যাভেজের মৃত্যুর পর শাসনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্টের কার্যভার গ্রহণ করেন।
ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সমর্থন নিয়ে নিজেকে ভেনিজুয়েলার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়।
ভেনিজুয়েলা সরকার গুইদোর ওই ঘোষণাকে ক্যু করার প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুইদোকে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি দেশটিতে প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপ করার হুমকি দিয়েছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওই অবস্থান ঘোষণা সত্ত্বেও চীন, রাশিয়া, ইরান, তুরস্ক ও মেক্সিকোসহ আরও কিছু দেশ ভেনিজুয়েলার নিকোলাস মাদুরো সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে।
ভেনিজুয়েলা ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে এক দশক আগে সমর্থন জানিয়েছিল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন