অস্ত্র বিস্তার রোধে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাতিল করলে দুই পরাশক্তি নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে রাশিয়া।
শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করে স্বাক্ষরিত ইন্টারমেডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন।
এরপর, সোমবার ক্রেমিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি থেকে বেরিয়ে গেলে সামরিক ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য রাশিয়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে বাধ্য হবে।
যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি বাতিল করলে ‘পৃথিবী আরও বিপদজনক জায়গা হয়ে উঠবে,’ মস্কোয় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন পেস্কভ।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের আগে এই মন্তব্য করল পেস্কভ।
বল্টন দুই দিনের সফরে সোমবার মস্কো পৌঁছেছেন। ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা বল্টনের কাছে চুক্তির বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিশদ খুঁটিনাটি জানতে চাইবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বল্টন সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও দেখা করবেন।
১৯৮৭ সালে আইএনএফ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্ভাচেভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান।
ওই চুক্তির আওতায় ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ৫০০ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম মাঝারি পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ও মস্কো একাধিকবার একে অপরের বিরুদ্ধে এই ঐতিহাসিক চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ করেছে।
শনিবার ট্রাম্প আইএনএফ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানানোর পর চীন, জার্মানি ও ফ্রান্স তার মন্তব্যের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে ব্রিটেন বলেছে তারা তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের পাশে ‘সম্পূর্ণ অবিচল হয়ে’ থাকবে।
এদিকে রাশিয়ার কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্বাচেভ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন