ভারতীয় সাহিত্যিক নাজির আহমেদ ১৮৬৯ সালে তার একটি উর্দু উপন্যাসে, ভূগোল ক্লাসে দু’টি মেয়ের ভূমিকা চিত্রায়িত করেছেন। যেখানে তারা মানচিত্রে বিভিন্ন দেশ সনাক্ত করছিল। যখন তারা আরব উপদ্বীপে আসলো তখন তাদের শিক্ষক বললেন, এটি একটি খালি জায়গা যা মারাদিন বেদুইন দ্বারা অধিকৃত। এই বিরাণভূমির একমাত্র ঐতিহাসিক তাৎপর্য হল, এটি ইসলামের জন্মস্থান।
মুসলিম শক্তির কেন্দ্র বাগদাদ, কায়রো, ইস্তাম্বুল, ইসফাহান, দিল্লী এবং সমরকন্দের মসজিদ, গম্বুজ এবং মাদ্রাসার তুলনায় ইসলামের জন্মস্থান মক্কা এবং মদিনার সৌধ এবং প্রতিষ্ঠানগুলো স্থাপত্য মান ও অর্থনৈতিক দিক থেকে নিম্নমানের।
মুসলিম রাজারা খুব কমই এই মক্কা এবং মদিনা পরিদর্শন করেন। যার ফলে, এই স্থানগুলো তার শত্রুদের নির্বাসনের জন্য উপযোগী স্থান হিসেবে কাজ করে।
আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের আগে সৌদি আরব বা আরব উপদ্বীপ সারা পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য কেন্দ্রীয় ও প্রান্তিক উভয় অবস্থানে ছিল। এমনকি মক্কা ও মদিনা মুসলিম তীর্থযাত্রীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির প্রতিনিধিত্ব করে, দূরবর্তী এবং বিপজ্জনক শহর হওয়া সত্ত্বেও এই পবিত্র শহর দু’টির দৃষ্টিভঙ্গি এখনো হজ্বের সময়ের তীর্থযাত্রীদের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ে।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান’র শাসন প্রতিষ্ঠার সময় থেকে সৌদি আরব খুব দ্রুত রাজনৈতিক এবং সামরিক শক্তি তৈরি করতে লাগলো। তিনি ইয়েমেনের সাথে এক নিষ্ঠুর যুদ্ধে জড়িয়েছেন, কাতারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং ইরান ও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দীদের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্মক অবস্থান নিয়েছেন। প্রিন্স মোহাম্মদ সফল কিনা তা বিষয় নয়, তবে এটি মুসলিম বিশ্বে সৌদি আরবের ধর্মীয় স্ট্যাটাসের আদল বদলাবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন