ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক নাইমুর জাকারিয়া রহমান। দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ২০ বছর বয়সী এই তরুণ জঙ্গী গোষ্ঠি আইএসএর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে থেরেসাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন।
ব্রিটিশ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা ‘এমআই-৫’ সদস্যরা পরিচয় গোপন করে নাইমুরের সাথে অনলাইনে ঘনিষ্ঠ হন। নাইমুর ভেবেছিলেন তিনি আইএসের সদস্যদের সাথে কথা বলছেন। আইএসএর সদস্য ভেবে ১৪ সেপ্টেম্বর নাইমুর টেলিগ্রামে ব্রিটিশ গোয়েন্দাকে পাঠানো বার্তায় বলেন, ‘তোমরা কি আমাকে কোন গোপন দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে? আমি পার্লামেন্টে বোমা হামলা করতে চাই। আমি থেরেসা মে কে হত্যা করতে চাই।’ এরপর দিন পাঠানো বার্তায় তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য পূরণই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। পার্লামেন্টের নেতাকে হত্যা করার চাইতে আর কোন কিছুই গুরুত্বপূর্ণ না।’
পুলিশ বলছে, প্রথমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসের গেটে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল নাইমুরের। তারপর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অফিসে ঢুকে ছুরি বা বন্দুক ব্যবহার করে হত্যা করা হতো থেরেসাকে। ডাউনিং নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকলেও রাস্তার শেষ প্রান্তে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য একটি গেট আছে।
আদালতে শুনানিতে জানা যায়, নাইমুরের এক মামা সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছেন এবং তার কাছ থেকেই ব্রিটেনে হামলার পরিকল্পনার উৎসাহ পেয়েছেন নাইমুর। দু বছর ধরে এই পরিকল্পনা চললেও কিন্তু গত বছর তার মামা সিরিয়ায় এক ড্রোন হামলায় মারা যাওয়ায় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর তাকে লন্ডন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দাদের একটি সাজানো বৈঠকে যোগ দিতে এলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি নকল বিস্ফোরকও উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। ২০১৫ সালের ব্রিটিশ সরকারের সন্দেহভাজন চরমপন্থী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের তালিকার মধ্যে একজন রহমান। গার্ডিয়ান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন