গো-রক্ষার নামে গণপিটুনি ইস্যুতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কোনো নাগরিকের আইন হাতে তুলে নেয়ার অধিকার নেই। আজ (মঙ্গলবার) গণপিটুনি প্রসঙ্গে এক আবেদনের শুনানিতে আদালত ওই মন্তব্য করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে কেন্দ্রীয় সরকারকে সংসদে আইন তৈরি করার পরামর্শ দেয়াসহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করতে বলেছে। এছাড়া, আদালত গণপিটুনিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আদালত বলেছে, “গো-রক্ষার নামে কারো আইন হাতে তুলে নেয়ার অধিকার নেই। দেশের বিভিন্নস্থানে গো-রক্ষার নামে হওয়া সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না। ভয় এবং অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পদক্ষেপ নিএত হবে। আইনের শাসন কায়েম করা সরকারের কর্তব্য।”
আগামী ২৮ আগস্ট এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানি হবে।
আজ আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পি এস নরসিমহা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। কেন্দ্রীয় সরকার এতে ততক্ষণ হস্তক্ষেপ করতে পারে না, যতক্ষণ না রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে আবেদন জানায়।
গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত রাজ্যকে গো-রক্ষার নামে সহিংসতা বন্ধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পাশাপাশি প্রত্যেক জেলায় এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করতে বলেছিল। রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ সরকার এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আদালত তাদের জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যে স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের তাণ্ডব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের জেরে গণপিটুনির বিষয় উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা, তুষার গান্ধী ও অন্যরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আজ (মঙ্গলবার) প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারপতির সমন্বিত বেঞ্চ গণপিটুনি ইস্যুতে কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন