তুরস্কে গত দুই বছর আগে ঘটে যাওয়া ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শহীদ হন উরুল উলজাক নামক এক তুর্কি। যিনি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িব এরদোগানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও দীর্ঘ দিনের সহকর্মী ছিলেন।
গত ১৫ ই জুলাই অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার বন্ধু ও সহকর্মী উলজাককে নিয়ে স্মৃতিচারণামূলক একটি নিবন্ধ লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, উলজাক তার জীবনে কখনো কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি, অভ্যুত্থানের রাতে তার থেকে অসম সাহসিকতা ও বীরত্বের নিদর্শন প্রস্ফুটিত হয়েছিলো আর সাহসিকতা ও বীরত্ব ছিলো তার স্বভাবজাত।
উল্লেখিত নিবন্ধে তিনি আরো বলেন, সত্য এবং সততা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে উলজাক সবসময় শুধু অংশগ্রহণই করেননি বরং সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দান করেছেন। আমি ১৯৯৩ সাল থেকে তার সাথে কাজ শুরু করেছি, তার শাহাদাৎ বরণের আগপর্যন্ত আমাদের সম্পর্ক অটুট ছিলো।
আবেগপ্রবণ হয়ে এরদোগান লিখেছেন, আমরা সম্মিলিতভাবে অনেক সফলতা ও বিজয় লাভ করেছি, বিভিন্নরকমের সংকটের মুখোমুখি হয়েছি, আবার সমানভাবে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছি।
সংবাদ সংস্থা আরতারের বিশেষ এক ক্রোড়পত্রে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের এই নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। যেখানে মোট ৪০ টি ছোটবড় নিবন্ধ জায়গা পায়।নিবন্ধে আরো বলা হয়, ২০১৬ এর ১৫ জুনের সেই ভয়াল কালোরাতে উলজাকের সাথে তার কিশোর পুত্র ১৬ বছরের আব্দুল্লাহও বিদ্রোহীদের গুলিতে বসফরাসের ব্রিজে শহীদ হন।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার নিবন্ধে উলজাককে তার রাজনৈতিক দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি)এর সাবেক সহকর্মী এবং প্রচারণা বিভাগের প্রকৌশলী আখ্যা দেন।
উল্লেখ্য, দুই বছর আগে ১৫ই জুলাই তুরস্কের ফাতহুল্লাহ গুলিনের নেতৃত্বাধীন একদল বিপথগামী সেনা এরদোগানকে অপসারণের লক্ষ্যে এই অভ্যুত্থান ঘটায়। কিন্তু সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসী ফাতহুল্লাহ গুলিনের এই ভয়াবহ অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ করতে বড় ভূমিকা রাখে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও প্রচারণা বিভাগ। যেই বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন উরুল উলজাক।
উৎস : টিআরটি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন