ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দূরে থেকে বেশ কিছুদিন পরস্পরের মধ্যে প্রশংসাবাক্য আদান-প্রদান করার পর বৈঠকে বসলেন তারা। তবে সোমবারের এই বৈঠকের মধ্যদিয়ে উভয়পক্ষে তেমন বড় কোনো ধরনের সাফল্য অর্জিত হবে বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকরা।
বড় ধরনের অগ্রগতি না হলেও তাদের মতে, এর মধ্যদিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চাঙ্গা হবে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গুপ্তচরকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টা নিয়ে পাল্টাপাল্টা কূটনীতিক প্রত্যাহারের বিষয়টি সুরাহা হবে বলেও ধারণা করছেন তারা।
কূটনৈতিক সম্পর্ক মেরামতের বিষয়ে সমঝোতা ছাড়াও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, সিরিয়াসহ আরও কিছু ইস্যু নিয়ে সংলাপ আয়োজনের ব্যাপারে একটি চুক্তি হতে পারে এ বৈঠকে।
তবে এ শীর্ষ বৈঠক নিয়ে কোনো পক্ষেই তেমন কোনো আশার কথা শোনা যায়নি এখন পর্যন্ত। এ বৈঠকটির আলোচ্যসূচি অনির্ধারিত বলেও ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র পাওয়ার মত কিছু খুঁজছে না। একইভাবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আরটি টিভি স্টেশনকে জানিয়েছেন, তিনিও দুই নেতার এ বৈঠক থেকে বেশি কিছু আশা করছেন না।
তবে পশ্চিমা শক্তি রাশিয়াকে যেভাবে কূটনৈতিকভাবে 'একঘরে' করে রাখার পরিকল্পনায় ছিল এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের পথ হিসেবে দেখা হচ্ছে এ বৈঠকটি। সে হিসেবে একে রাশিয়ার জন্য ভূরাজনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তবে এ দিক দিয়ে ট্রাম্প নিজ দেশে চাপের মুখে পড়তে পারেন বলে ধারণা করছেন তারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন