জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। মানবাধিকার পরিষদ থেকে যুক্তরাষ্টের পদত্যাগের পর রাশিয়া জানিয়েছে, এ সংস্থা কিছুই হারায়নি বরং এখন থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে।
জেনেভাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে নিযুক্ত রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি গেন্নাদি গাতিলভ বলেন, 'আমি বলতে পারছি না যে, মানবাধিকার পরিষদ কোনো কিছু হারিয়েছে। আশা করি আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার কারণে এ সংস্থায় এখন রাজনীতিকীকরণ, দ্বিচারিতা ও দ্বন্দ্ব কমে যাবে।'
মঙ্গলবার জাতিসংঘে মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মানবাধিকার পরিষদ থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ পরিষদকে 'রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের নর্দমা' অ্যাখ্যায়িত করে সংস্থাটি 'মানবাধিকারের সঙ্গে উপহাস করে আসছিল' বলেও মন্তব্য করেন নিকি হ্যালি।
মাইক পম্পেও সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক ৪৭টি সদস্য রাষ্ট্রকে নিয়ে গঠিত এ পরিষদকে ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় খুবই দুর্বল সংস্থা’হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে বলছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে জাগতসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অবস্থান পছন্দের নয় যুক্তরাষ্ট্রের। তারা বলে আসছিল, এই কমিশন ইসরায়েলবিদ্বেষী। মূলত ইসরায়েল প্রশ্নে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল অনমনীয় থাকায় পরিষদটি ছাড়লো যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ২০১৭ সালেও এই কাউন্সিলকে 'ইসরায়েল-বিরোধী' বলে দাবি করেছিলেন হ্যালি। এমনকি তিনি প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, সংস্থাটি ধারাবাহিক ইসরায়েলবিদ্বেষী ভূমিকা থেকে সরে না এলে যুক্তরাষ্ট্র কমিশন ছেড়ে যাবে। শেষমেষ দেশটি সেখান থেকে সরে আসার ঘোষণাই দিলো।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন