ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই গেরিলা নিহত হয়েছে। সংঘর্ষ বিরতি প্রত্যাহারের পর আজ (সোমবার) নতুন করে শুরু হওয়া সেনা অভিযানে ওই দুই গেরিলা নিহত হয়।
বান্দিপোরার পানার বনভূমি এলাকায় ওই দুই সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া। যদিও সংবাদসংস্থা এএনআই'র পক্ষ থেকে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত চারজন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গত ৯ জুন গেরিলারা নিরাপত্তা বাহিনীর টহলদারি দলের উপরে গুলিবর্ষণ করলে সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। ওই অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৩ জুন দুই গেরিলা ও এক সেনা জওয়ান নিহত হয়েছিলেন।
রমজান মাস উপলক্ষে কাশ্মিরে এক মাস সংঘর্ষবিরতি কার্যকর ছিল। গতকাল তা প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরপরেই আজ (সোমবার) সকালে জম্মু-কাশ্মিরের বান্দিপোরার বনভূমি এলাকায় শুরু হয় নতুন করে সন্ত্রাসী নির্মূল অভিযান ‘অপারেশন অল আউট’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং
এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের সংঘর্ষবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ অ্যাখ্যা দিয়েছে রাজ্যে পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারের প্রধান শরিক পিডিপি। পিডিপি’র মতে, সেনা অভিযান বন্ধ থাকায় মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন। বিজেপি সংঘর্ষ বিরতি চালু রাখার বিরোধী। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি দলের মধ্যে কিছুটা টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের দাবি, কাশ্মিরে মোদি সরকারের ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় নজির। দলটির মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফর সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কারণ, জাতিসঙ্ঘ কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে নয়াদিল্লির সমালোচনা করেছে।
হুররিয়াত কনফারেন্সের একাংশের চেয়ারম্যান মীরওয়াইজ ওমর ফারুক বলেছেন, ‘কাশ্মিরে শান্তি ফেরানোর সঠিক চেষ্টা ছাড়া কেবল অভিযান বন্ধ রাখার কোনো অর্থ নেই। হুররিয়াত আলোচনার বিপক্ষে নয়। কী নিয়ে আলোচনা হবে তা আমরা দিল্লির কাছে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জবাব মেলেনি।’#
পার্সটুডে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন