মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের নতুন দূত ক্রিস্টিন স্করানার বুর্জনার চলতি মাসের মধ্যেই দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন বলে জাতিসংঘের সদর দফতরের একটি কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আর এটি হবে ক্রিস্টিন স্করানার বুর্জানার এর প্রথম মিয়ানমার সফর।
এমন এক সময় তিনি দেশটিতে যাচ্ছেন যখন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ এনে তদন্ত শুরু করার প্রাথমিক প্রক্রিয়া সমাপ্ত করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
এর আগে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের একটি তদন্ত মিশনকে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো মিয়ানমার। সে সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ইয়ংহি লি’র কাজেও বাধা প্রধান করেছিলো দেশটির সরকার।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জানুয়ারিতে সম্পন্ন হওয়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তির আওতায় এখনও একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। তবে সেই চুক্তির পর বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেলেও ধোঁয়াশা কাটছিলনা।
এখন রোহিঙ্গাদের গণহত্যার বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো হওয়ায় দেশটি জাতিসংঘের সাথে প্রত্যাবাসন চুক্তিতে বাধ্য হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদ সদস্যরা রাখাইন সফর করেছ। যা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার জন্য শুভকর বটে।
সে সময় নিরাপত্তা পরিষদ জানায়, দেশটির সরকার এমন অভিযোগ তদন্তের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে মানবাধিকার দফতরের মতো জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকে নিযুক্ত করতে হবে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সহযোগিতায় এসব নৃশংসতার অভিযোগ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যথাযথ সরকারি নজরদারি না থাকলে এটি ফাঁদ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক। একই সঙ্গে তারা বলছে সরকার দায়বদ্ধ না থাকলে নিধনযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিরা আবারও হত্যাযজ্ঞ শুরু করতে পারে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন