ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, হাসিনাজির সঙ্গে আমার একটি বৈঠক ঠিক করেছি। সেটা আগামী শনিবার উনি বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার আগে হবে। ওইদিন সন্ধেবেলা আমরা দুইজন কথা বলবো। আমি হাসিনাজিকে খুব ভালোবাসি, উনিও আমাকে খুব স্নেহ করেন।
বৃহস্পতিবার(২৪ মে)পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন এবং বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শান্তিনিকেতনে এসে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শনিবার(২৬ মে) বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, হাসিনাজি আসছেন, সঙ্গে ওর ছোট বোন রেহানা আসছেন। বাংলাদেশের অনেক মন্ত্রী আসছেন। আমরা খুব খুশি যে তারা আসছেন। আমাদের এই সম্পর্ক, আমাদের এই আন্তরিকতা চিরকালীন। দুই দেশের মধ্যে আমরা অনেক সময়ে বৈঠক করেছি। উনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে খুব ভালোবাসেন। এপার বাংলা ওপার বাংলার মধ্যে সম্পর্ক চিরকালীন, সার্বজনীন এবং বিশ্বজনীন। এটা বিশ্ববাংলার একটা রূপরেখা, এখানে কোনও সীমারেখা কাজ করে না। এখানে আমাদের সভ্যতা, আমাদের আন্তরিকতা, আমাদের সংস্কৃতি কাজ করে।
মমতা বলেন, গত কয়েক বছর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের সময়ে উনি ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। খুব সম্মান দিয়েছিলেন। শুধু আজ নয়, উনি যখন বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন, তখনও আমার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আজ নয়, চিরকাল। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক চিরকাল থাকবে। বাংলাদেশকে আমার অভিনন্দন। বাংলাদেশ আরও ভালো থাকুক, আরও এগিয়ে চলুক। ভারতবর্ষের এবং বাংলাদেশের আরও উন্নতি হোক, এটা আমরা সব সময়ই চাই।
তিনি বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ আমদানি প্রসঙ্গে বলেন, ইলিশ তো আমরাও উৎপাদন করছি। বাংলাদেশ তো দেয়, আমি কেন ইলিশ নিয়ে ঝগড়া করতে যাবো? বাংলাদেশের ইলিশ তো আমরা খাই। সুতরাং দুই দেশের ইলিশ খাবো। দুই বাংলার মিলন ছিল, আছে, থাকবে। পশ্চিমবাংলার সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। আমরা সবাই এক।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুইদিনের সরকারি সফরে পশ্চিমবঙ্গে গেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সফরসঙ্গীদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনার এর সফরে শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডিলিট) গ্রহণ করবেন।
এছাড়া দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিনিকেতনে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন শেষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। শনিবার রাতে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন