বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ও বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করতে শান্তিনিকেতনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে কলকাতায় যাওয়া শেখ হাসিনা শান্তি নিকেতনে পৌঁছলে বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য প্রফেসর সবুজ কলি সেন প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
পাঁচ বছর পর সমাবর্তন অনুষ্ঠান হচ্ছে বিশ্বভারতীতে। আম্রকুঞ্জের ছাতিমতলায় এই সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়। সমাবর্তন মঞ্চে একসঙ্গে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মমতা ব্যানার্জি, কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আরও উপস্থিত আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
কাঠ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী কায়দায় সমাবর্তনের মঞ্চ সাজানো হয়েছে। মঞ্চে বসার জায়গা সাজানো হয়েছে বৈঠকী কেতায়। সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পরনে রয়েছে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবির সঙ্গে হলুদ উত্তরীয়। আর ছাত্রীদের পরনে আছে হলুদ পাড়ের সাদা শাড়ি। সমাবর্তন ঘিরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো এলাকায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পর মোদি-হাসিনা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে শেখ হাসিনা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন।
অনুষ্ঠান শেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিনিকেতনে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন এবং সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন।
এর আগে সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও তিন বাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
স্থানীয় সময় সকাল নয়টার দিকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর হেলিকপ্টারে কলকাতা থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার উত্তরে বীরভূম জেলার বোলপুর শান্তিনিকেতনে যান শেখ হাসিনা।
এখান থেকে শেখ হাসিনা কলকাতা ফিরে জোড়াসাকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতা চেম্বার নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসানসোলে যাবেন। সেখানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনে তাকে সম্মানসূচ ডিলিট ডিগ্রি দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বর্ণপদক দেবেন। এরপর কলকাতায় ফিরে নেতাজী সুবাস বসু জাদুঘর পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে শনিবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন