চীন বৃহস্পতিবার (২৪ মে) পাকিস্তানের সঙ্গে মুদ্রাবিনিময় চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে। ইসলামাবাদের বৈদেশিক মুদ্রা সংকট এড়াতে বেইজিং দেশটিকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে সহায়তা করেছে বলে খবর প্রকাশের মাঝে এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলো।
স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় চুক্তির মেয়াদ বাড়নো হয়েছে বলে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক-পিপলস ব্যাংক অব চায়না জানিয়েছে।
ব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিনিময়ের আকার ২০ বিলিয়ন ইউয়ান (৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বা ৩৫১ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।
এই মেয়াদ বৃদ্ধি দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজতর করবে বলে দুই পক্ষ বিশ্বাস করে।
চুক্তির মেয়াদ তিন বছর এবং পারস্পরিক সম্মতিতে তা আরো বাড়ানো যাবে।
মুদ্রা বিনিময় চুক্তির ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিস্পত্তি এবং অর্থবাজারে তারল্য সহায়তা প্রদানের জন্য অন্য মূদ্রার সমপরিমাণ নিজস্ব মূদ্রা দিয়ে মূল্য পরিশোধ করতে পারবে দুটি প্রতিষ্ঠান।
ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর তারিক বাজওয়া ঋণ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান যে বেইজিংয়ের ব্যাংকটি এপ্রিলে বেশ অল্প সুদে এই ঋণ দিয়েছে।
বাজওয়া জানান, এই অর্থ দুই দেশের মধ্যে আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামরিক বন্ধন শক্তিশালী করছে।
চীনের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে তারল্য উপচে পড়ছে বলেও বাজওয়া জানান।
চলতি বছরের মে মাসে পাকিস্তানের বৈদেশি মুদ্রার রিজার্ভ গত বছর এপ্রিলের ১৮.১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৮.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
রিপোর্টে বলা হয়, চীনের ব্যাংক থেকে ধার নেয়ার ফলে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) থেকে আর সাহায্য চাইতে হবে না।
পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখে, পাকিস্তানকে ঋণ দেয়া চীনের জন্যও অনুকূল। কারণ তারা ঋণের বিস্তারিত প্রকাশ করতে আগ্রহী নয়, যা চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পের অংশ।
পাকিস্তানে অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে চীন প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। তবে সিপিইসি প্রকল্পের আওতায় ইসলামাবাদকে কি পরিমাণ ঋণ দেয়া হচ্ছে তা প্রকাশে বেইজিং আগ্রহী নয়।
ফিনান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়, গত মাসে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার আগে ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে চীনের ব্যাংকগুলো থেকে পাকিস্তান আরো ১.২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে। আগামীতেও আরো ঋণ নেয়া হতে পারে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন