ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তি থেকে বের হওয়ার বিষয়টিকে মার্কিন সরকারের গভীর শত্রুতা বলে উল্লেখ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনী। তিনি বলেন, ‘ইরানের কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে আমেরিকার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী।’
বুধবার সন্ধ্যায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের উদ্দেশে খামেনী এসব মন্তব্য করেন। খবর পার্সটুডের।
তিনি বলেন, আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের পরিণতি পূর্বসূরি বুশ ও রিগ্যানের চেয়ে ভালো কিছু হবে না এবং তাদের মতোই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, পরমাণু আলোচনার শুরু থেকে ইরান যে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তা হলো- আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসা তেহরানের সাজে না। কারণ দেশটি কোনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না।
খামেনী বলেন, পরমাণু সমঝোতায় অটল থাকতে চাইলে ইউরোপীয় দেশগুলোকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনতে হবে।
ইউরোপের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করে তিনি বলেন, তিন ইউরোপীয় দেশের শীর্ষ নেতাদের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ও মধ্যপ্রাচ্যে তেহরানের উপস্থিতি নিয়ে কখনো কোনো অবস্থায় কথা বলবে না।
আয়াতুল্লাহ খামেনী বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সাংঘর্ষিক সম্পর্ক নেই। তবে এসব দেশের প্রতি তেহরানের অবিশ্বাস আছে। ইউরোপীয়রা অতীতে ইরানকে দেয়া প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে বলেই এ অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এ অবিশ্বাস ভাঙতে তিন ইউরোপীয় দেশকে (ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি) বাস্তব গ্যারান্টি দিতে হবে।
সর্বোচ্চ নেতা তার শর্তের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, ইরানের তেল বিক্রি ও বৈদেশিক লেনদেন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য ইউরোপকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু তারা যদি এসব কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে পরমাণু কর্মসূচি আবার চালু করার অধিকার সংরক্ষণ করে তেহরান।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন