অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় তিব্বত চীনের অংশ হয়ে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিতর্কিত অঞ্চলটির আধ্যাত্মিক গুরু দালাই লামা।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক লেকচারে দালাই লামা বলেন, ‘ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে তিব্বত সবসময় স্বাধীন ছিলো। ১৯৫০ সালে চীন এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেয়, যাকে তারা বলছে শান্তিপূর্ণভাবে স্বাধীন করা। চীনের সংবিধান যতদিন আমাদের সংস্কৃতি এবং তিব্বত স্ব-শাসিত অঞ্চলের বিশেষ ইতিহাসকে স্বীকৃতি দেবে ততদিন অঞ্চলটি চীনের সঙ্গে থাকতে পারে।’
১৯৫৯ সালে চীনের সেনাবাহিনী তিব্বতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান শুরু করার পর দালাই লামা ভারতে এসে আশ্রয় নেন এবং তারপর থেকে গত ছয় দশক ধরে ভারতেই অবস্থান করছেন।
চীন বিশেষজ্ঞ কোনদাপালি এই পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে দালাই লামা অনেকদিন ধরেই এ কথা বলছেন। তবে এখন অনেকটা সুনির্দিষ্ট ও স্পষ্টভাবে। এ মাসেই চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই দালাই লামার বক্তব্য বেশ সহায়ক হবে। সাম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি যে চীনের ব্যাপারে ভারত তার আগ্রাসী সুর নরম করেছে। সে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়।’
‘বৈশ্বিক শান্তি ও সংহতি জোরদারে নৈতিকতা ও সংস্কৃতির ভূমিকা’ শীর্ষক ওই লেকচারে দালাই লামা প্রাচীন ঐতিহ্যকে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দেন।
তিনি বলেন, কীভাবে প্রাচীন ঐতিহ্যকে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু করা উচিত। বিশ্বের সমস্যাগুলো নিরসনে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে প্রাচীন ঐতিহ্যকে সমন্বয়ের ক্ষমতা ভারতের রয়েছে। এটা ভারতকে সন্ত্রাসবাদ ও বৈশ্বিক উষ্ণতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন