মালয়েশিয়ায় ফিলিস্তিনি বিজ্ঞানীকে হত্যার ঘটনা একটি ‘আন্তর্জাতিক ইস্যু’ বলে মন্তব্য করেছেন কুয়ালালামপুরের পুলিশ প্রধান। সবদিক বিবেচনায় রেখে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ফিলিস্তিনি বিজ্ঞানী ও হামাস সদস্য ফাদি আল-বাতসের মৃতদেহ রবিবার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। হামাস ও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
কুয়ালালামপুরের পুলিশ প্রধান মাজলান লাজিম বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা সবদিক থেক থেকেই তদন্ত করছি। বিষয়টি খুব সতর্কভাবে ও গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। এটা একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু।’
৩৫ বছর বয়সী আল-বাতস গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। টুইটার বার্তায় হামাস তাকে ‘বিশ্বস্ত’ সদস্য ‘তরুণ ফিলিস্তিনি বিজ্ঞানী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
প্রথম দিকে হত্যার ঘটনায় হামাসের পক্ষ থেকে সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়নি। বলা হয়েছিল, ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ হাতে তিনি জীবন দিয়েছেন।
পরে দলটির শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে এজন্য অভিযুক্ত করে প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দেন। তিনি বলেন, অতীতের গুপ্তহত্যা ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, ভয়ঙ্কর এই অপরাধ মোসাদ ছাড়া সম্ভব নয়।
শনিবার তিনি আল-বাতসের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঘটনা দ্রুত তদন্তে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন নিহতের বাবা।
এদিকে ঘটনার পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিদগর লিবারম্যান সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বরং হামাসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এটা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
লিবারম্যান বলেন, ‘আমরা হত্যার ঘটনাটির খবর পেয়েছি। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, সব ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা।’
সাধারণত, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের ব্যাপারে কোনো ধরনের বিবৃতি দেয় না ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
এর আগে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি জানান, যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা ইউরোপীয় এবং বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
শনিবার ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ফাদি আল-বাতসকে গুলি করে হত্যা করে দুই দুর্বৃত্ত। এখনো তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন