পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ধর্ষণের আলামত ধ্বংসে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অাসাম প্রদেশের নওগাঁ এলাকায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ১০ ও ১১ বয়সের দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে নৃশংস এ ঘটনা ঘটনার শিকার হওয়া ছাত্রী না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। ধর্ষকের দেয়া আগুনে শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যাই নির্যাতিতার।
ধর্ষকের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করলেও ধর্ষণের পর আগুন দেয়ার মূল হোতা ২১ বছর বয়সী জাকির হুসেন নামের এক ধর্ষক পলাতক রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় একটি দৈনিক বলছে, ঘটনার দিন স্কুল থেকে ফিরে বাড়িতে একাই ছিল পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী। মা-বাবা দু’জনেই কাজে বেরিয়েছিলেন। সেইসময় ২১ বছরের জাকির হুসেন বাড়িতে ঢুকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে তার সঙ্গে যোগ দেয় ১০ ও ১১ বছর বয়সী আরও দুই কিশোর। ধর্ষণের পর তিনজনে মিলে ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
পুলিশের ধারণা, জাকিরের সঙ্গে ছাত্রীর পরিবারের বিবাদ থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। গ্রেফতার দুই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত জাকির হুসেনের খোঁজে অভিযান শুরু হয়েছে।
অাসামের নওগাঁয়ের পুলিশ সুপার শঙ্কর রায়মেধি বলেছেন, মৃত্যুর আগে নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তার তথ্যের ভিত্তিতে দুই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামতের প্রমাণ মিলেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন