ইসরাইলকে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (৩২,০৮৮ কোটি টাকা) ‘ট্যাক্স মানি’ অনুমোদন করেছে মার্কিন কংগ্রেস। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের বিধবা, অনাথদের জন্য সহায়তা কর্তন করা হয়েছে।
শনিবার আমেরিকান-ইসরাইল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির (এআইপিএসি) প্রেসিডেন্ট ফিল ফ্রাইডম্যান এক ইমেল বার্তায় সমর্থকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
‘ইফ আমেরিকানস নিউ ব্লগ’ এর খবর অনুযায়ী, ফিল ফ্রাইডম্যান লিখেছেন, ‘আমাদের কাজ একসঙ্গে ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য এবং তার ভবিষ্যতের জন্য একটি পার্থক্য তৈরি করা।’
এতে তিনি লিখেন, ‘২০১৮ আর্থিক বছরের জন্য মার্কিন কংগ্রেস তার ‘অমনিবাস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন’ বিলের অংশ হিসাবে আজ (শনিবার) সকালে ইসরাইলের জন্য একটি মেজর আইন পাস করেছে।’
অর্থ বরাদ্দের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে ফ্রিডম্যান লিখেন, ‘এই আইনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে; যা ইসরাইলের নিরাপত্তাকে আরো জোরদার করবে। এরমধ্যে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে:
• ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ৩.১ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা আমাদের মিত্রকে এবং তার নাগরিকদের রক্ষায় সাহায্য করবে।
• ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রোগ্রামের জন্য ৭০৫.৮ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে; যা গত বছরের তহবিল স্তরের চেয়ে ১০৫ মিলিয়ন ডলার বেশি।
• যৌথ টানেলিং-বিরোধী প্রযুক্তির জন্য ৭৪.৫ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছর থেকে ৫ মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে।’
এছাড়াও, ‘টেলর ফোর্স অ্যাক্ট’ পাসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে তহবিল সরবরাহ কর্তন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
৩২০১৮ সালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয় বিলের জন্য ‘টেলর ফোর্স অ্যাক্টে’ অন্তর্ভুক্তির প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সাধারণ প্রতিনিধির প্রধান হুসাম জোমলট বলেন, শনিবারের এই আইনের মাধ্যমে মার্কিন কংগ্রেস দখলদারদের পুরস্কৃত করেছে এবং যারা শান্তি চাচ্ছে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করেছে।
জুমলট এক বিবৃতিতে বলেন ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আর্থিক চাপের একটি হাতিয়ার হিসাবে প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষের সহায়তা কর্তন করা হয়েছে এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির সম্ভাবনাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই বিল অবৈধ ইসরাইলি দখলরিত্বকে এবং মানবাধিকারের চলমান লঙ্ঘনকে পুরস্কৃত করে। একই সঙ্গে এটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে একযোগে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, যেটি একমাত্র সংস্থা হিসেবে শান্তি ও অহিংসার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি মার্কিন-ফিলিস্তিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এবং ‘দুই রাষ্ট্র’ সমাধানে কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকে উপেক্ষা করেছে।’
সূত্র: ইন্টারনশ্যানাল মিডল ইস্ট মিডিয়া সেন্টার নিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন