প্রথম বৈঠক হয়েছিল বছর খানেক আগে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। এবার সমুদ্র নিরাপত্তাসহ দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক সুরক্ষা সহযোগিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চলতি সপ্তাহেই ঢাকায় বসছে বিমসটেকভুক্ত (বে অব বেঙ্গল ইনিসিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশন) দেশগুলির দ্বিতীয় নিরাপত্তা বৈঠক।
আর এতে যোগ দিতে আগামী মঙ্গলবার তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বহুপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করবেন ডোভাল।
কলকাতার আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ভোট। রাজনৈতিকভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুই দেশের যোগাযোগ বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে ঢাকাও। নয়াদিল্লিও নজর রাখছে পরিস্থিতির ওপর। এর অংশ হিসেবে আগামী ৭ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাতে সাম্প্রদায়িক হানাহানি অথবা জঙ্গি-সন্ত্রাসের মতো ঘটনা না বাড়ে, সেটাই চায় ভারত।
সম্প্রতি ঢাকায় বিমসটেক-এর ২০ বছর উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ‘গোটা অঞ্চলের জন্য সন্ত্রাসবাদই এখনও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জঙ্গিদের কৌশল বদলাচ্ছে, তাদের নেটওয়ার্কও শক্তিশালী হচ্ছে। কোনও ভৌগোলিক সীমাই তারা মানে না। ফলে সন্ত্রাস রুখতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বিমসটেক-এ রয়েছে ভুটান, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং তাইল্যান্ডও। রোহিঙ্গা সমস্যাটি এই মঞ্চে তুলে ধরবে ঢাকা। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সূত্র খুঁজে বের করা ভারতের কাছেও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যেই মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশকে ঢেলে সাজার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দিল্লি।
বাংলাদেশের পক্ষে ওই বৈঠকে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) তারেক আহমেদ সিদ্দিকি।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, রোহিঙ্গা সমস্যার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির পারস্পরিক যোগাযোগের বিষয়টিও বৈঠকে গুরুত্ব পাবে। এই অঞ্চলের জন্য একটি অভিন্ন কৌশল তৈরির চেষ্টা হবে বিমসটেক বৈঠকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন