সৌদি আরব তো বটেই, মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে উঠে আসছে মুহাম্মদ বিন সালমানের নাম। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রাউন প্রিন্স পশ্চিমে এমবিএস নামেই পরিচিত।
সৌদি আরবে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান এবং নারীদের ব্যাপারে নতুন কিছু আইন চালুর কারণে তিনি ব্যাপক আলোচিত। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হলেও নারীদের ব্যপারে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দিয়ে বাহবা কুড়িয়েছেন সালমান।
যদিও ইয়েমেনে গণহত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলছেন মানবাধিকার কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টরা। ইয়েমেনে যুদ্ধাপরাধেরও অভিযোগ তোলা হচ্ছে সালমানের বিরুদ্ধে।
সৌদি আরবের একজন সাংবাদিক বলছেন, সেখানকার বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিকদের কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে। এখন ভয়ে কেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারছে না। সব দেখেও মুখ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
সৌদি আরবে শত শত বিলিয়ন ডলার খরচ করে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সেগুলোও লোক দেখানো বলে মন্তব্য করেছেন সৌদির সাংবাদিক জামাল খাসোগ্গি। তার পরেও এ ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ জানাতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় কেউ কারো উন্নয়ন করে দেবে না। তবে নারীদের অধিকারের ব্যাপারে যেসব সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
ক্রাউন প্রিন্স ছাড়াও সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধ এবং মানবিক পরিস্থিতির কারণে। ইয়েমেনের নাগরিকরা যে দুর্দশার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে তার জন্য সৌদি জোট দায়ী বলে মনে করছেন জামাল।
মানবাধিকার সংস্থার হিসাবমতে, এখন পর্যন্ত ছয় হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে ইয়েমেনে। তার মধ্যে ৬০ শতাংশ নিহত হয়েছে সৌদি জোটের বিমান হামলায়।
এদিকে নিজেকে সফল হিসেবে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতায় আসার পর জিডিপির হার বাড়াসহ নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
তবে বাস্তবতা হলো, আগের বছরের তুলনায় ২০১৭ সালে দুই দশমিক তিন শতাংশ জিডিপি বেড়েছে। এই হার তুলনামূলকভাবে বেশি নয়। অন্যদিকে ২০১৭ সালে যে সংখ্যক চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে সেই রেকর্ড ২০০৯ সালের তুলনায় কম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন