সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা ও তার জামাতা জারেড কুশনার। সে সময় কাতার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে সৌদি যুবরাজ বলেছিলেন কুশনার তার পকেটে থাকেন। সৌদি ও আমিরাতের রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে এই খবর জানিয়েছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট।
তবে কুশনারের আইনীজীবী এই খবরকে ‘মিথ্যা ও হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়ে অভিযোগটি ‘জবাব দেওয়ার যোগ্য’ নয় বলে দাবি করেছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন সৌদি যুবরাজ।সৌদি ও কাতারের রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্রের বরাতে ইন্টারসেপ্ট জানিয়েছে, সৌদি যুবরাজের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছিলেন কুশনার। আলাদা আরেকটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে গর্ব করে সৌদি যুবরাজ বলেছিলেন, কুশনার তার পকেটে থাকেন।
তবে কুশনারের আইনজীবী অ্যাবে লোয়েল এই খবরকে ‘মিথ্যা ও হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়ে অভিযোগটি ‘জবাব দেওয়ার যোগ্য’ নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম মাঝে মাঝে এমন সব প্রশ্ন হাজির করে যা চূড়ান্তভাবে মিথ্যা ও হাস্যকর। এসব প্রশ্ন জবাব দেওয়ার যোগ্যও নয়। এটা তার একটা। ইন্টারসেপ্টই ভালো বলতে পারবে।’নিরাপত্তা অনুমোদন না পাওয়ায় কয়েক সপ্তাহ আগে ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনারের গোপন গোয়েন্দা নথি দেখার সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়। এর মধ্যেই ইন্টারসেপ্ট তার তথ্য ফাঁসের খবর প্রকাশ করল।
আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের খবর বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, ইসরাইল ও মেক্সিকোর কর্মকর্তারা, জারেড কুশনারকে দোষী প্রমাণ করার উপায় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ করেছেন।এদিকে দুই সপ্তাহের সফরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এই সফরে এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কুশনারের সঙ্গেও তার বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে। নিরাপত্তা অনুমোদন না থাকা কুশনারের সঙ্গে এবারের বৈঠকে সৌদি যুবরাজ কতটা তথ্য পাবেন তা নিয়ে এরই মধ্যে সংশয় প্রকাশ করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
jugantor
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন