গ্রিক দ্বীপ লেসবোসের একটি শরণার্থী শিবিরে বৃহস্পতিবার ২৬ বছর বয়সী এক সিরীয় যুবক নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। কয়েক মাস ধরে দ্বীপটিকে আটকেপড়া শরণার্থীদের সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনার মধ্যে এটি অন্যতম।
দেশটির এক কর্মকর্তা বলেন, আগুনে ওই শরণার্থীর শরীরের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।-খবর রয়টার্স।
দ্বীপটির মরিয়া শরণার্থী শিবিরের বাইরে আশ্রয় কেন্দ্রের অফিসের কাছে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে অন্তত পাঁচ হাজার শরণার্থী ও অভিবাসী বসবাস করছেন।
দ্বীপটির আরেকটি আশ্রয় শিবিরেও তিন হাজারের বেশি শরণার্থীর ধারণক্ষমতা রয়েছে। এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা সেখানে পড়ে আছেন।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্রিসে সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া ৬০ হাজার শরণার্থী অবস্থান করছেন। গোটা বলকান অঞ্চলের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ায় মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপগামী এসব অভিবাসী গ্রিসে আটকা পড়েন।
২০১৫ সালে ১০ লাখ শরণার্থী ও অভিবাসীর ইউরোপে প্রবেশের প্রধান ফটক ছিল লেসবস। কিন্তু বছর দুয়েক আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তুরস্ক এই ঢল থামাতে সম্মত হয়।
দুপক্ষের চুক্তি অনুসারে গ্রিসের দ্বীপটিতে আসা কোনো শরণার্থী যদি আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য না হন, তবে তাকে তুরস্কের দিকে ফেরত যেতে হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন