নাম তার সুচেতা সতিশ। গানপ্রিয় পরিবারের সন্তান সে। তাই চার বছর বয়স থেকে গান শেখা। এখন বয়স মাত্র ১২, দুবাইয়ের ইন্ডিয়ান হাই স্কুলের ৭ম গ্রেডের শিক্ষার্থী সে। ইতোমধ্যে ১০২টি ভাষায় গান শেখা হয়ে গেছে তার।
আরও নতুন নতুন ভাষায় গান শিখছে। সম্প্রতি দুবাইয়ে সোয়া ৬ ঘণ্টার এক অনুষ্ঠানে ১০২টি ভাষায় গান গেয়ে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে এই বালিকা।
অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এই বালিকা সুচেতা চার বছর বয়সে প্রথম কর্নাটকি ভাষায় গান শেখে। হিন্দি ভাষাকেন্দ্রীক গান নিয়ে সে পড়াশুনা করছে। পাশাপাশি ২০১৬ সাল থেকে বিদেশি ভাষায় গান শিখছে। এক বছরের একটু বেশি সময়ে সে ৮০টি ভাষায় গান শিখেছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গাল্ফ নিউজের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।
গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিভিন্ন ভাষায় গান গাওয়ার রেকর্ডও রয়েছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের গান্ধী হিলের বাসিন্দা ড. কেসিরাজু শ্রীনিভাসের। ২০০৮ সালে ৭৬টি ভাষায় গান গেছে বিশ্ব রেকর্ড করেন তিনি।
গত ২৫ জানুয়ারি দুবাইয়ে ভারতীয় কনস্যুলেট অফিসে এক কনসার্টে গান গেয়ে আগত অতিথি ও শ্রোতাদের অবাক ও বিস্মিত করে দেয় সতিশ।
সে জানায়, আমার প্রথম বিদেশি গান জাপানি ভাষার। আমার বাবার জাপানি এক বন্ধু আমাদের বাসায় এসেছিলেন। তিনি একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি জাপানি ভাষায় একটি গান গাইলে সেটি আমার পছন্দ হয় এবং গানটি আমি শিখে নেই।
সুচেতা জানায়, একটি গান শিখতে তার দুই ঘণ্টার কাছাকাছি সময় লাগে। যদি উচ্চারণ করা সহজ হয় তাহলে সেটি আমি আগে শিখি। যদি কোনো গান দীর্ঘ না হয়, তাহলে আধা ঘণ্টার মধ্যে শিখে ফেলি।
সাধারণত ফ্রেন্স, হাঙ্গেরিয়ান ও জার্মানির গান শেখা খুব কঠিন। কিন্তু এ ধরনের গান শিখতেও তার দুই দিনের বেশি সময় লাগে না। মাওরি, আর্মেনিয়া ও স্লোভাকিয়ার গান হলো তার সবচেয়ে পছন্দের।
সুচেতা সতিশের শেখা বিদেশি ভাষার গানের মধ্যে আজারবাইজান, বুলগেরিয়া, বাংলা, চেক, ডাচ, সুইডিশ, রোমানিয়া, উর্দু, কুর্দিশ, পশতু, তুর্কি, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ, আরবি ও ইংরেজি উল্লেখযোগ্য।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন