আপনারা বিফ (গরুর মাংস) খেতে চান, তো খান। কিন্তু এ জন্য উৎসবের আয়োজন কেন? কিস (চুমু) প্রসঙ্গেও মামলা অনেকটা এমনই। যদি আপনারা চুমু খেতেই চান তাহলে তার জন্য কোনো ফেস্টিভ্যালের আয়োজন বা কারো হুকুমের জরুরতটা কী?
ভারতীয় উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু সোমবার বিফ-পার্টি আর কিস ইভেন্ট আয়োজকদের সমালোচনাসূচক উপদেশ দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
মুম্বাইর আরএ পোদ্দার কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিকসের প্লাটিনাম জুবিলি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও অন্যান্যদের তিনি বলেন, নিজগৃহ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ বিপদমুক্ত রাখুন।
উপরাষ্ট্রপতি নাইডু এ সময় আফজাল গুরু প্রসঙ্গের অবতারণা করে বলেন, এরপর আপনারা আফজাল গুরু প্রসঙ্গে আসুন। কিছু লোক তার নামে চিৎকার করছে। এসব হচ্ছেটা কী? সে আমাদের সংসদকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।
পার্লামেন্টে বোমা হামলাকারী আফজাল গুরুর ফাঁসি কার্যকর হয় ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। এর আগে ১৯৮৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রতিষ্ঠাতা মকবুল ভাটের ফাঁসি কার্যকর হয়। উভয়য়েরই মৃত্যুদণ্ড নয়া দিল্লির তিহার জেলে কার্যকরের পর সেখানেই দাফন করা হয়।
তাদের মৃত্যুর দিনকে সামনে রেখে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়। কারণ, নিজেদের দুই নেতার মৃত্যবার্ষিকী সামনে রেখে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল সংগঠনটি।
এদিকে, নাইডু আরো বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কিছু বাবা-মা তাদের সন্তানের ক্ষমতা বুঝতে পারে না।
গরুর মাংস খাওয়া না খাওয়া নিয়ে বিবাদ প্রসঙ্গে এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ভেঙ্কাইয়া নাইডুর বক্তব্যও স্মরণযোগ্য। গত বছরের জুনে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছিলেন যে তিনি নিজেও মাংসাহারী এবং সকলেরই তার নিজ নিজ পছন্দের খাবার খাওয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, আমি মাংসাহারী। আমাকে কখনো কেউ কোনো কিছু খাওয়া থেকে বিরত করেনি। খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়।
প্রসঙ্গত, গরু জবাই নিষিদ্ধের প্রতিবাদে গত বছরের জুলাইয়ে মাদ্রাজ-আইআইটির ছাত্ররা ক্যাম্পাসের ভেতরে বিফ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। নাইডু গোমাংস ভক্ষণ প্রসঙ্গে তার বক্তব্যে সেই বিষয়টির ইঙ্গিত করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন