রাশিয়া কাতার ও ইরান যাওয়ার পথে ২০১৫ সালে হঠাৎ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বহনকারী বিমান পাকিস্তানের লাহোরে জরুরি অবতরণ করে। এরপর পাক ভূখণ্ডে মোদির বিমান নামানোর কারণে ন্যভিগেশন চার্জ হিসেবে ২ লাখ ৮৬ টাকা দাবি করে পাকিস্তান। তথ্য জানার অধিকার আইনে জানা এ খবর জানা গেছে।
এ সময় সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ মোদীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা করেন, এরপর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যান রাওয়ালপিন্ডির বাসভবনে, কিন্তু বিমানের যাত্রাপথ পরিবর্তনের জন্য পাকিস্তান ১.৪৯ লাখ টাকার বিল ধরায় ভারতীয় হাই কমিশনকে।
এছাড়া ২০১৬-র ২২-২৩ মে ইরান যাওয়ার পথে যাত্রাপথ বদলের জন্য ৭৭,২১৫ টাকা ও সে বছরই ৪-৬ জুন কাতার যাওয়ার সময় একই কারণে ৫৯,২১৫ টাকার বিল দিয়েছে পাক সরকার। দুটি সফরেই মোদীকে যেতে হয় পাক ভূখ-ের ওপর দিয়ে।
তথ্য জানার অধিকার আইনে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বিমান বাহিনীর বিমান ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে খরচ হয়েছে ২ কোটি টাকার মত। এই খরচ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিল জমা দেয় যে দেশে প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন সেখানকার ভারতীয় দূতাবাস, তাতে ধরা থাকে জ্বালানির খরচ, জমি ছোঁয়ার পর খরচ, বিমানবন্দরের ভাড়া, কর্মী, হোটেল কর্মীদের ডিএ, খাওয়া-দাওয়া ও আরও আনুষঙ্গিক খরচ।
এবিপি নিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন