২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে স্কুলে সবচেয়ে ভয়াবহতম হামলার ঘটনা ঘটে। কানিকটিকাটে স্যান্ডি হুক এলিমেন্টরি স্কুলে ওই হামলায় ২৬জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ২০জনই শিশু। তাদের বয়স ছিল ৬ থেকে ৭ বছরের মধ্যে।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এক আবেগঘন বক্তব্য দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বক্তৃতা দেয়ার সময় দুইবার তার কণ্ঠ ধরে আসে। এসময় চোখ মুছতেও দেখা যায় তাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী আদেশ জারির সময় কাঁদতে দেখা যায় ওবামাকে।
তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে যে বন্দুক হামলা হয়েছে সেখানে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া পুরো উল্টো। ওই হামলার ঘটনায় স্কুলের স্টাফসহ ১৭ জন নিহত হয়। হামলার দুইদিন পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পার্কল্যান্ডে মারজরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলের আহতদের সঙ্গে দেখা করেন।
ওই সময়টাতে ট্রাম্প হাসপাতালে মাত্র ৩৫মিনিট কাটান। আর দেখা করেন মাত্র দুইজন আহত ব্যক্তির সঙ্গে। শুধু তাই নয়, ভেংচি কেটে ও বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ছবিও তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এটি নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে দেখে যাওয়ার কয়েকঘণ্টা পর ফ্লোরিডায় নিজের মার-এ-লার্গো ভবনে একটি পার্টিতে দেখা গেছে তাকে।
ফ্লোরিডায় স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গান কন্ট্রোল বা বন্দুক নিয়ন্ত্রণে আইনের ওপর জোর দিয়েছেন। বুধবারের ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার এক টুইটে তিনি লিখেন, আমরা পার্কল্যান্ডের ঘটনায় শোকাহত। কিন্তু আমরা একদমই ক্ষমতাহীন নই।
ওবামা লিখেছেন, আমাদের শিশুদের জন্য চিন্তা করাটাই আমাদের প্রথম কাজ। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারছি, এমনকি বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনও প্রণীত হচ্ছে, সেক্ষেত্রে আমাদের বদলাতে হবে।
সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টুইটে লিখেছেন, এখন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া কংগ্রেসের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাতে এ ধরনের সহিংসতা থেকে আরও অনেক পরিবার বাঁচতে পারে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন