৪ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর ‘ডুমস ডে’! এই দিনই ‘২০০২ এজে ১২৯’ নামের গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে! এমন হেডলাইন তৈরি করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ‘বাজার গরম’ করলেও, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর সাথে কোনও সংঘাত হচ্ছে না ওই গ্রহাণুর।
নাসা জানিয়েছে, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর ‘কাছ’ দিয়ে বেরিয়ে যাবে ‘এজে১২৯’ গ্রহাণু। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ওইদিন পৃথিবী থেকে গ্রহাণুটির দূরত্বের ব্যবধান থাকবে ৪০ লাখ ২০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যে যে দূরত্ব তার দশ গুণ দূর দিয়ে যাবে ওই গ্রহাণু। তবে, ওই গ্রহাণুর উপর নজর থাকবে বিজ্ঞানীদের।
নাসা আরও জানিয়েছে, গ্রহাণুটির আয়তন ০.৫ থেকে ১.২ কিলোমিটার। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, গ্রহাণুটি নাকি একটি বহুতল বাড়ির মতো দেখতে।
নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরির সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ-অবজেক্ট স্টাডিজ-র ম্যানেজার পল কোডাস জানিয়েছেন, ১৪ বছর ধরে ওই গ্রহাণুর উপর নজর রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কক্ষপথেই যাচ্ছে এটি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গবেষণা অনুযায়ী, ওই গ্রহাণুর সাথে পৃথিবীর কোনও সংঘাত হবে না। এমনকী আগামী ১০০ বছরেও ওই গ্রহাণু পৃথিবীর ধারে কাছে আসবে না। সূত্র: জি নিউজ
এর আগে পৃথিবীর শেষ দিন প্রায় আসন্ন এই বলে গবেষক ডেভিড মিড বিশ্বকে আতঙ্কিত করেছিলেন। ২০১৭ এর অক্টোবরেই ধ্বংস হতে চলেছে পৃথিবী৷ এমনই এক ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছিল গবেষক ডেভিড মিডের গবেষণায়৷ তাঁর বিখ্যাত বই ‘প্ল্যানেট এক্স: দ্য ২০১৭ অ্যারাইভাল’ বইটিতেই উঠে এসেছে এই কঠোর তথ্যটি। একটি বিশাল বড় গ্রহ এসে সজোরে ধাক্কা মারবে পৃথিবীকে৷ আর তাতেই ভেঙে চুড়মার হয়ে যাবে এই গ্রহটি।
২০১৭ সালের আগামী সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরেই এই ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটার কথা ছিল৷ আর এই ধ্বংস যে অবশ্যাম্ভাবীই তার জ্বলন্ত প্রমাণও রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি৷ বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরা তাই নতুন বাঙ্কার তৈরি করেছে এই ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য।
এই প্রসঙ্গে মিডে বলেন, মানুষের মধ্যে যাতে প্যানিক সৃষ্টি না হয় তাই ইচ্ছে করেই এই বিষয়টি সম্পর্কে মানুষকে অন্ধকারের মধ্যে রাখা হয়েছে৷ ভূমিকম্পের পরিমাণও বেড়ে যাবে প্রবলভাবে৷ কম্পনের মাত্রাও যত দিন যাবে তত বৃদ্ধি পাবে। তত্ত্ববিদরা দাবি করেন, নেপচুনের পরেও রয়েছে একটি গ্রহ যেটি প্ল্যানেট এক্স কিংবা নিবিড়ু নামে পরিচিত৷ ওই গ্রহটিই পৃথিবীকে ধ্বংস করতে চলেছে বলে দাবি করেন ওই তত্ত্ববিদেরা৷ এর আগেও ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এবং সেপ্টেম্বরে এই প্ল্যানেট এক্সের দ্বারা পৃথিবী ধ্বংস হতে চলেছিল৷
যদিও এই বিষয়টি সম্পর্কে নাসা জানিয়েছে, নিবুড়ুর এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই ভিত্তিহীন৷ এই বিষয়টির কোনও তথ্যপ্রমাণই নেই৷ যদি আগামী অক্টোবরে এই গ্রহটির জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হয় তাহলে এই গ্রহটি ইতিমধ্যেই দেখা যেতো আকাশে৷ এমনটাই দাবি করেছে নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন