সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কয়েকটি গ্রাম দখলে নিয়েছে তুর্কি বাহিনী। ওই অঞ্চলে কুর্দি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের তৃতীয় দিনে এই ঘটনা ঘটলো বলে তুর্কি গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
সোমবার সিরীয় বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিয়ে দেশটির আফরিন অঞ্চলের গ্রামগুলো দখলে নেয় তুর্কি সেনারা। তবে কুর্দি যোদ্ধারা জানিয়েছে, দুটি গ্রাম পুনর্দখলে নিয়েছে তারা।
এর আগে আফরিন থেকে কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজে) সদস্যদের ধরা হবে- তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের এমন ঘোষণার পরই দেশটির সেনারা সেখানে বিমান হামলা শুরু করে।
ওই হামলা না করতে তুরস্ককে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মার্কিন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ’ নামের ওই অভিযান শুরু করে তুর্কি সেনারা। মার্কিন হুঁশিয়ারির নিন্দাও জানিয়েছে দেশটি। ১৫৩টি কুর্দি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে তুর্কি সেনারা। হামলা শুরুর পর আফরিন থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া।
আইএসবিরোধী যুদ্ধে ওয়াইপিজেকে সবচেয়ে সক্রিয় বাহিনী মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক।
কুর্দি বিদ্রোহীদের অবস্থান তুরস্কের সীমান্তবর্তী আফরিন ও মানবিজ অঞ্চলে। আংকারার অভিযোগ, সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ওই অঞ্চল থেকে তাদের চলে যাওয়ার জন্য কয়েক মাস ধরে তাগাদা দিয়ে আসছিলো তুরস্ক। এতে কাজ না হওয়ায় তুরস্ক সীমান্তে সামরিক তৎপরতা বাড়াতে শুরু করলে সিরীয় কুর্দিদের রক্ষায় ৩০ হাজার সদস্যের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গঠনের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে তুরস্ক।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন