ভারতে হিন্দু তরুণীরা যাতে মুসলিম তরুণদের বিয়ে করতে না পারে, সেজন্য কত চেষ্টাই না করা হচ্ছে। কিন্তু তবুও থেমে নেই। এবার সাধারণ কেউ নয়, ক্ষমতাসীন বিজেপির সহযোগী সংগঠনের এক নেতার মেয়ে পর্যন্ত এত মুসলিম তরুণকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু তা মেনে নিতে পারেনি উগ্র হিন্দুবাদী পরিবারটি। মেয়েটিকে তারা অপরহণ করে তবে তাতে রক্ষা হয়নি।
মুম্বই থেকে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বজরং দল কর্মীকে। মেয়েটি আরএসএসের এক শাখা সংগঠনের নেতার মেয়ে। গত বছর সে এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে মু্ম্বই পালিয়ে যায়, তাকে বিয়েও করে বলে অভিযোগ। মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী নামে ওই মুসলিম যুবক তার স্ত্রীকে মুম্বই থেকে অপহরণের অভিযোগে বম্বে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন পেশ করেছিলেন।
তারপরই সুনীল পাম্পওয়েল নামে অভিযুক্ত বজরং দল কর্মীকে মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করে। অভিযোগ, পাম্পওয়েল গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মেয়েটিকে তার বাবা, মায়ের সঙ্গে গাড়িতে মুম্বই থেকে ম্যাঙ্গালুরু নিয়ে চলে আসেন।
মেয়েটির মুসলিম যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করাকে ‘লাভ জেহাদ’ বলে দাবি করেছিল সংঘ পরিবার ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত ২৯ ডিসেম্বর ম্যাঙ্গালুরু সফরে এলে তাকে স্মারকলিপি দিয়ে এ ব্যাপারে তার হস্তক্ষেপ চায় তারা।
মেয়েটি ম্যাঙ্গালুরু ইস্ট পুলিশ স্টেশন লিমিটসের মধ্যে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত। তিন বছর আগে তার সঙ্গে সোস্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় চৌধুরির। আলাপ থেকে প্রেম, তারপর গত বছর জুলাইয়ে মুম্বই পালিয়ে গিয়ে বিয়ে। তখন থানায় হলফনামা দিয়ে মেয়েটি জানিয়েছিল, সে প্রেমিকের সঙ্গে স্বেচ্ছায় রয়েছে, কেউ তাকে জোরজবরদস্তি করেনি।
‘ধর্ষণ শীর্ষে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা, তবু চুপ মোদি’
ভারতে ধর্ষণের ঘটনায় শীর্ষে পৌঁছেছে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা৷ কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কেন ‘চুপ’ তিনি? এই প্রশ্ন তুলে শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগল কংগ্রেস৷
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, হরিয়ানাকে ‘ধর্ষণের রাজধানী’ হিসেবে তুলনা করে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছে অল ইন্ডিয়া মহিলা কংগ্রেস৷ সংগঠনের শাখা নেত্রী সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে অবশ্যই হরিয়ানার পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলা উচিত প্রধানমন্ত্রীর৷ ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ এই প্রকল্পের সার্থকতা আদৌ কতটা? তার দাবি, এটি শুধুই রংবেরংয়ের মোড়কে আটকানো একটি স্লোগান মাত্র৷
গত ১২ দিনে হরিয়ানায় ১০টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে৷ অথচ রাজ্য সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ মহিলা কংগ্রেসের৷ কেন মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার? সংবাদ সম্মেলনে এমনই প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব৷
দিনে দিনে রাজ্যের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ মহিলা কংগ্রেসের৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টারও সেভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি৷ মুখ্যমন্ত্রীকে ‘অহংকারী এবং অসংবেদনশীল’ বলেও কটাক্ষ করেন সুস্মিতা দেব৷
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন