দুজন সিনিয়র এফবিআই অফিসারের মধ্যে ক্রমাগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারী ক্লিনটনের বিষয়ে ম্যাসেজ আদান-প্রদান হতে থাকে। আর এই আদান-প্রদান হয় অফিসের ফোনেই। তবে এটা কোনো একজনের সঙ্গীর কাছ থেকে রোমান্টিক সম্পর্ক লুকানোর জন্যও হতে পারে বলে ধারণা অনেকের।
এফবিআইএর দুজন অফিশিয়াল কর্মকর্তা সিনিয়র এফবিআই লইয়ার লিসা পেজ ও সিনিয়র কাউন্টারইন্টেলিজেন্স এজেন্ট পিটার টারজকের উপরই এখন আভ্যন্তরীন তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে কারণ তারা এফবিআইকে খানিকটা ঘোলাটে করে তুলেছে। তাদের আচরণ পুরো প্রজাতন্তে নতুন করে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে যেটা এফবিআই ব্যুরোকে রাজনৈতিক একপক্ষীতার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। পরে তাদের টেক্সট ম্যাসেজগুলো এফবিআইএর নজরে আসে।
ক্ষুদেবার্তাগুলো এই সপ্তাহে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট দ্বারা প্রকাশিত হয়। আর এরপরই সেক্রেটারি অব স্টেট থাকার সময়ে ক্লিনটনের ইমেল কেলেঙ্কারী নিয়ে এবং রাশিয়ার নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রভাব নিয়েও আবার কথা হচ্ছে। আগেকার দুটি বিষয়ের তদন্তের সঙ্গে জড়িত পেজ ও টারজক দুজনেই এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
২০১৬ সালের এপ্রিলে টারজকের কাছে একটি টেক্সট পেজ পাঠানো হয়। এই সময়ে দুজনেই ক্লিনটনের তদন্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। দুজনের মধ্যেকার এই টেক্সট আদানপ্রদানকে আইনপ্রণেতারা সন্দেহজনক হিসেবে উল্লেখ করেন।
দুজনের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্কের আভা পাওয়া যায় টারলককে লেখা একটি ম্যাসেজে। সেখানে পেজ লিখেছেন, দেখ, তুমি বলো যে আমরা শুধু সেই সময়ে এই ফোনে ম্যাসেজ করেছি যখন আমরা হিলারী নিযে কথা বলেছি। কারণ এটা ট্রেস করা যায় না। তুমি বলে দিতেই চেয়েছিলো, কারণ তুমি খারাপ বোধ করছিলে।
এই বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অনেকের দাবি, এখান বোঝা যায় যে তারা দুজন অন্য কোনো মাধ্যমেও যোগাযোগ রাখতেন। সেখানে ক্লিনটন বিষয় নিয়ে আলোচনা হতো। আর পেজের এই ম্যাসেজের মানে ছিলো কেন তারা দুজনে ম্যাসেজ আদান প্রদান করে সেই বিষয়ে তাকে তার স্ত্রীর কাছে ব্যাখ্যা করার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন