২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী গুজরাটের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো মুসলিম, যারা মোট জনসংখ্যার ৯.৬৫ শতাংশ। তা সত্ত্বেও ২০১২ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনে মাত্র দুইজন মুসলিম এমএলএ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
গুজরাটের অ্যাসেম্বলিতে আসন সংখ্যা ১৮২টি। সেই হিসেবে মুসলিম জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করলে মুসলিমদের আরও বেশি নির্বাচিত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু উল্টো প্রতি বছর তাদের জনপ্রতিনিধিত্ব আরও কমছে।
গত দু’দশক ধরে যে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সেখানে সরকার চালাচ্ছে, তারা মুসলিমদের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যপারে খুব সামান্যই আগ্রহ দেখিয়েছে।
১৯৯৮ সালে একজন মাত্র মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি।
২০১২ সালের রাজ্যসভা নির্বাচন বা এর আগে – ২০০৭ ও ২০০২ সালে – কোন মুসলিম প্রার্থীই দেয়নি বিজেপি।
কংগ্রেসের আমলেও পরিস্থিতি খুব একটা ভিন্ন ছিল না। ১৮২টি আসনের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ১৪৯টিতে জিতেছিল কংগ্রেস। কিন্তু গুজরাট বিধানসভায় মুসলিম জনপ্রতিনিধির সংখ্যা ছিল হাতে গোনা – মাত্র সাতজন।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ২০১১ সালে গুজরাটের তৎকালিন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “সদ্ভাবনা মিশন” চালুর মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের আকর্ষণের চেষ্টা চালান।
কিন্তু ২০১২ সালের অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে কোন মুসলিম প্রতিনিধিকে মনোনয়ন না দেয়ায় গেরুয়া পার্টির এ প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়।
সত্যিকারের “সদ্ভাবনা” দেখানোর আহ্বান নিয়ে ২০১৭ সালের গুজরাট অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে আরও বেশি আসনে মনোনয়ন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল “বিজেপি মাইনরিটি মোর্চা”।
কিন্তু, যখন বিজেপি এমএলএ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশিত হলো, দেখা গেলো সেখানে একজন মুসলমানেও নামও নেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন