আবারো যদি উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়, তাহলে দেশটিতে ট্রাম্প প্রশাসনের হামলার সম্ভাবনা ৭০ ভাগ। রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এই ধারণা করছেন। গ্রাহাম বলেছেন, পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সক্ষমতা অর্জনের পরও দেশটিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হামলার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
আটলান্টিকের সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রাহাম বলেছেন, ‘আমরা আগে ১০-এর মধ্যে তিনভাগ ক্ষেত্রে সামরিক হমলার সম্ভাবনার কথা বলতাম। কিন্তু আবারো যদি উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়, অর্থাৎ তারা যদি সপ্তম বারের মতো এই পরীক্ষা চালায়, তবে সামরিক হামলার সম্ভাবনা হবে ৭০ শতাংশ।’ গ্রাহাম আরো বলেন, গল্ফ খেলার সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সাথে এ যুদ্ধ হবে এই সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই’।
অগ্রগতি ছাড়াই শেষ সিরীয় আলোচনা
মিডলইস্ট আই
সিরিয়া সঙ্কট সমাধানে গত বৃহস্পতিবার জেনেভায় শেষ হওয়া সংলাপে সুবর্ণ সুযোগ হারিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সিরীয় সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী ও জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত স্টাফান ডি মিস্তুরা। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারকে রাজি করাতে আগামী মাসের সংলাপে নতুন ধারণা খুঁজে বের করতে হবে বলেও জানান তিনি।
সর্বশেষ সংলাপে বসতে আপত্তি করে কোনো পক্ষই ‘ভণ্ডুল’ করে দেয়নি। তবে সংলাপের ব্যর্থতার জন্য মিস্তুরা সরকারপক্ষকেই বেশি দোষারোপ করেন। জেনেভায় পৌঁছে ভবিষ্যতে বাশারের যেকোনো ভূমিকার বিষয়ে আপত্তি তোলায় সিরিয়ার বিরোধীদের প্রতিও অসন্তুষ্টি জানিয়েছেন তিনি। রুদ্ধদ্বার বৈঠকটিতে সরকারবিরোধী অনমনীয় অবস্থার পরিবর্তনে পরিণত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিস্তুরা।
এক সংবাদ সম্মেলনে মিস্তুরা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল বাস্তব মীমাংসা খুঁজে বের করা। খোলাখুলি বললে আমরা তেমন কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে পারিনি। অন্যভাবে বললে, বাস্তবে কোনো মীমাংসা হয়নি।’ তিনি আরো বলেন, ‘পরিশেষে বলতে পারি, এ সংলাপে আমরা বিশাল একটি সুযোগ হারিয়েছি। সামরিক অভিযান বন্ধের ব্যাপারে অনেক পক্ষের ইঙ্গিত থাকায় বছরের শেষে একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল।’
গত মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পরই মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সাথে দেখা করতে তিনি নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন বলে জানান মিস্তুরা। তিনি বলেন, ‘সংলাপকে এগিয়ে নিতে আমাকে বিশেষ করে সংবিধান ও নির্বাচনের জন্য নতুন ধারণা নিয়ে আসতে হবে। জানুয়ারিতে পরবর্তী জেনেভা সংলাপ এ ফলাফলের ওপরই নির্ভর করবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন