তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অনুষ্ঠিত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র জরুরি শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণার বিষয়ে কিছু আপত্তির কথা জানিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ইরান মনে করছে- এই ঘোষণার মাধ্যমে যেকোনোভাবেই হোক, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে।
সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাসকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণার পাশাপাশি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সম্মেলনের আগে ৫৭ জাতির এ জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করেন এবং তারা ‘ফ্রিডম অব আল-কুদস’ নামে একটি চূড়ান্ত ঘোষণা প্রস্তুত করেন। সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ অংশ নেন।সম্মেলনে চূড়ান্ত ঘোষণা নিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কসেমি সাংবাদিকদের বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকারের প্রতি ইরানের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে তবে, ইস্তাম্বুল সম্মেলনের যে দুটি ঘোষণায় তেহরান সমর্থন দিয়েছে তার অর্থ এই নয় যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভূয়া সরকার ও তার দখলদারিত্বকে ইরান স্বীকার করে নিয়েছে।বাহরাম কাসেমি জানান, ইস্তাম্বুল ফোরামে আলোচনার সময় ইরান জানিয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের অস্তিত্ব স্বীকার করে না তেহরান এবং শীর্ষ সম্মেলনের সচিবালয়ে বিষয়টি ইরান লিখিতভাবে জানিয়েছে।
গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে নেয়ার ঘোষণা দেন। এর জবাবে গত বুধবার ওআইসি’র জরুরি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশ নেয়ার কথা থাকলেও মাত্র ২২টি দেশ থেকে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশ নেন। সৌদি আরব থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয় যা নিয়ে এরইমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
পার্সটুডে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন