এটি কোনও সংবাদকর্মীকে জোর করে দেশটি থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা নয়। ক্যামেরা দিয়ে চীনের মানুষের উপর নজরদারি করার ব্যবস্থা কতটা শক্তিশালী তা প্রমাণ করতে বিবিসির সাংবাদিক সুডওয়ার্থ দেশটির কর্তৃপক্ষের সাথে বাজি ধরেছিল। চীনের কর্তৃপক্ষ দেশটির শক্তিশালী সিসিটিভি ক্যামেরা নেটওয়ার্ক ও চেহারা সনাক্ত করার প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে খুঁজে বের করে ফেলেন বিবিসির ওই সাংবাদিককে।
.
চীন তাদের দেশের পুলিশকে সহায়তা করার জন্য গত বছর ধরে খুব শক্তিশালী একটি সিসিটিভি ক্যামেরা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।
চীনের সিসিটিভি ক্যামেরা নেটওয়ার্ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় সারভেল্যান্স সিস্টেম। ১৭ কোটি ক্যামেরার চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কতক্ষণ লুকিয়ে থাকা যায় তাই দেখতে চেয়েছিলেন সুডওয়ার্থ। তাকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। মাত্র ৭ মিনিটের মাথায় সুডয়ার্থকে খুঁজে বের করে ফেলে চীনের কর্তৃপক্ষ।
চীন তাদের সিসিটিভি নেটওয়ার্ক-এ আরও ৪০ কোটি ক্যামেরা যুক্ত করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে শুধু অনেক ক্যামেরা ব্যবহারের কারনে চীনের নজরদারির ব্যবস্থা এত শক্তিশালী নয়। চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছে ক্যামেরাগুলোর সাথে ব্যবহৃত সফটওয়ার কারও ছবি দেখে তার পরিচয়পত্র, গাড়ির নম্বর, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও সহকর্মীদের সনাক্ত করতে পারে। ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করে তারা যে কারও বয়স, জাতীয়তা, লিঙ্গ চিহ্নিত করতে পারে।
চীনের সারভেল্যান্স ব্যবস্থাকে অনেকেই ব্রিটিশ লেখক জর্জ অরওয়েলের ভীতিজাগানিয়া উপন্যাস '১৯৮৪'-এর সাথে তুলনা করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন