সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াংয়ের সব বাসিন্দার ডিএনএ নমুনা,আঙ্গুলের ছাপ ও অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করছে চীনা কর্তৃপ । আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা ১২ থেকে ৬৫ বছরের প্রত্যেক বাসিন্দার চোখের আইরিস স্ক্যান ও রক্তের গ্রুপ পরীার পর ডাটাবেজ তৈরির কাজ করছেন। কঠোর কেন্দ্রীয় শাসনে থাকা জিনজিয়াংয়ে চীনা কর্তৃপ এর মাধ্যমে উন্মুক্ত কারাগার সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জিনজিয়াংয়ে ১ কোটি ১০ লাখ উইঘুর বাস করেন। এই অঞ্চলটিতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হান সম্প্রদায়ের লোকজন উইঘুরদের ওপর সহিংস হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, নৃতাত্ত্বিক, ধর্মীয় পরিচয়, মতামত অথবা বাক স্বাধীনতার মতো অন্যান্য সংরতি অধিকার চর্চার কারণে লোকজনের ওপর নজরদারি চালাতে এসব তথ্য কর্তৃপ ব্যবহার করতে পারে।
সরকারি সুবিধার আওতায় মেডিক্যাল পরীা-নিরীার সময় বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করছে কর্তৃপ। তবে রোগীর জ্ঞাতসারে বিষয়টি করা হচ্ছে কি না তা পরিষ্কার নয়। চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, চলতি বছর ১৭ লাখ লোক এই মেডিক্যাল পরীা-নিরীা করিয়েছে। এক উইঘুর জানিয়েছেন, দাফতরিকভাবে এই তথ্য প্রদান স্বেচ্ছামূলক। অবশ্য তিনি বলেছেন, ‘স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা তাদের বলেছেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চীনের পরিচালক সোফি রিচার্ডসন বলেছেন, ‘পুরো একটি জনগোষ্ঠীর ডিএনএসহ বায়োমেট্রিক তথ্য বাধ্যতামূলক সংগ্রহ করা মোটা দাগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতির লঙ্ঘন।’ তিনি ােভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘জিনজিয়াং কর্তৃপরে উচিত তাদের এই শারীরিক পরীা প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে সবার ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন নাম রাখা।’
ইয়েমেনে রুশ দূতাবাস বন্ধ
প্রেস টিভি
ইয়েমেনে অস্থায়ীভাবে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী সানার বর্তমান ও গত কয়েক সপ্তাহের পরিস্থিতি বিবেচনা করে মস্কো এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মঙ্গলবার দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, দূতাবাসের সব কর্মচারী ও কর্মকর্তা এরই মধ্যে ইয়েমেন থেকে দেশে ফিরে গেছেন। তিনি জানান, ইয়েমেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এবং কয়েকজন কূটনৈতিক কর্মকর্তা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে তাদের কার্যক্রম চালাবেন। জাখারোভা আশা করেন, ইয়েমেনে সঙ্ঘাতে লিপ্ত দুই পরে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ শক্তিগুলো তাদের প্রভাব কাজে লাগাবে যাতে রাজনৈতিক উপায়ে সমস্যার সমাধান করা যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন