জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতিদানকে ট্রাম্পের ‘মহা অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। একে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার তুরস্কে মুসলিম নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে আব্বাস বলেন, ‘জেরুজালেম সব সময়ই ফিলিস্তিনের রাজধানী এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এমনভাবে জেরুজালেমকে দিয়ে দিয়েছে, যেন এটা আমেরিকার কোনো শহর।’ এই ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প সীমা লঙ্ঘন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আব্বাস বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা গ্রহণযোগ্য হবে না, কারণ তারা ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে।’
এর আগে ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে ওই শহরে সরিয়ে নিতে ট্রাম্পের ঘোষণা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে হয়েছে বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব-জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী বিবেচনা করে।
১৯৬৭ সিরিয়া, মিসর এবং জর্দানের সঙ্গে যুদ্ধে জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চল দখল করে ইসরায়েল। এর আগে ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পবিত্র এই শহরটির পশ্চিমাঞ্চল দখল করে তারা। পূর্ব জেরুজালেম দখলের ফলে পুরো শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ। যদিও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, জেরুজালেম থেকে যায় ফিলিস্তিনের অংশ। সে আইনের তোয়াক্কা করে না ইসরায়েল। এতদিন যুক্তরাষ্ট্রও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
নিজের অবস্থান আরো জোরালো করতে জেরুজালেমে অবৈধ বসতি নির্মাণও অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। চৌদ্দতম জেনেভা কনভেশনে এর বিরুদ্ধে বেশকিছু রেজুলেশন আনে জাতিসংঘ। এতে বলা হয়, কোনো দখলদার দেশ দখলকৃত ভূখণ্ড থেকে নাগরিকদের অন্যত্র সরাতে পারবে না। কিন্তু ১৯৬৭ সাল থেকে এই কাজটিই করে যাচ্ছে ইহুদিবাদী দেশটি।
ব্রেকিংনিউজ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন