সময় ও অর্থের যথাযথ বিনিয়োগে পুঁজিবাজার থেকে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত মুনাফা। যদিও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগও ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু কোম্পানির মৌলভিত্তি যাচাই করে সঠিক কৌশলে বিনিয়োগ করা যায়, তবে মুনাফা নিশ্চিত। এমনটাই বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস।
ইকোনমিক টাইমসের তথ্যানুযায়ী, শেয়ারে মাত্র ১০ হাজার রূপি বিনিয়োগে ৩ কোটি রূপি মুনাফা করেছে ভারতীয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৩ সালে যারা ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছে এমন শেয়ারের দাম এখন ৩ কোটি রূপির সমমূল্যে রূপান্তরিত হয়েছে। কারণ, এসময় কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়ের সম্প্রসারণের পাশাপাশি মুনাফা ও শেয়ারের দামও বেড়েছে।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইনফোসিসের (Infosys) শেয়ারে ১৯৯৩ সালে জুনে যারা ১০ হাজার টাকার বিনিয়োগ করেছে ২০১৭ সালের অক্টোবরে তার দাম দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৩০ হাজার ৬৪৫ টাকা। অর্থাৎ এসময় শেয়ার থেকে বিনিয়োগকারীরা রিটার্ন পেয়েছে ২৯৭৩ গুণ।
ফার্মাসিটিক্যাল খাতের ইমামি (Emami) শেয়ারে ১৯৯৫ সালে যারা ১০ হাজার রূপি বিনিয়োগ করেছে, অক্টোবর ২০১৭ শেষে তার দাম দাঁড়িয়েছে ৫২ লাখ ২৮ হাজার ৯৫৮ টাকা। এসময় এ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫২৩ গুণ।
১৯৯০ সালে যারা শ্রী সিমেন্টে (shree cement) বিনিয়োগ করেছে ২০১৭ সালের অক্টোবর শেষে কোম্পানিটির দাম দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার ৭২২ টাকা। এসময় শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৯১৩ গুণ।
ইসার মটরর্সের (Eicher Motors) ১৯৯০ সালের জানুয়ারিতে যারা ১০ হাজার রূপি বিনিয়োগ করেছিল অক্টোবর ২০১৭ শেষে তার মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৮ রূপি। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২০১৮ গুণ।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের সান ফার্মায়(sun pharma) ১৯৯০ সালে ডিসেম্বরে যারা ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছে ২৩ বছর পর অক্টোবর ২০১৭তে কোম্পানিটির দাম দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ১০ হাজার ৩৭৭ টাকা।
এদিকে, এইচডিএফসি ব্যাংকে (HDFC Bank) যারা ১৯৯০ সালে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিল সাড়ে ২২ বছর পর কোম্পানিটির দর দাঁড়িয়েছে২২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৭ টাকা।
এছাড়াও এশিয়ান পেইন্টসে (asian paints) ১৯৮৮ সালে যারা ১০ হাজার রূপি বিনিয়োগ করেছিল, তার বাজার মূল্য এখন ৫৯ লাখ টাকায় স্থিতি পেয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন